শিবসেনার মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ একঝাঁক বিধায়কের দল পরিবর্তনের সম্ভাবনা জোড়াল হয়েছে। তার জেরেই মহারাষ্ট্রে এমভিএ সরকারের স্থিতিশীলতা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্দল বিধায়কদের অবস্থান সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা পাশা উল্টে দিতে পারেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ২৮৮ টি আসন। শিবসেনা বিধায়ক রমেশ লাটকের মৃত্যুর পর একটি আসন ফাঁকা রয়েছে। সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে যে কোনও দল বা জোটকে ১৪৪ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর মহাবিকাশ আঘাদি সরকার আস্থা ভোটে জয় পায়। ১৬৯ জন বিধায়ক এই জোট সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। বর্তমানে শিবসেনার ৫৫ জন বিধায়ক রয়েছে।
এনসিপির ৫৩ জন ও কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১০৫টি আসন পেয়েছিল। পরে পন্ধপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আসন এনসিপির থেকে বিজেপির কাছে চলে যায়। যার ফলে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপির মোট আসন সংখ্যা ১০৬ হয়। নির্দলের তিন জন বিধায়ক আবার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী হয়েছেন।
বিধানসভায় ১৩ জন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। তারমধ্যে ছয়জন বিজেপি সমর্থক ও পাঁচ জন শিবসেনাকে সমর্থন করে। কংগ্রেস ও এনসিপিকে একজন করে নির্দল বিধায়ক সমর্থন করে। চলতি মাসে মহারাষ্ট্র থেকে ছয়টি রাজ্যসভা নির্বাচন হয়। এআইএমআইএম ও সমাজবাদী পার্টির দুই জন করে বিধায়ক রয়েছে। তাঁরা কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল। অন্যদিকে বহুজন বিকাশ আঘাদি এর তিনজন বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থন করেছিল।
দেখা যাচ্ছে বিজেপিকে ১১৩ জন বিধায়ক সমর্থন করছে। ম্যাজিক ফিগার ১৪৪। শিবসেনা দলের কতজন বিধায়ক দল ছাড়বে, সেই সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। সেই সংখ্যার ওপরেই বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে কি না, তা নির্ভর করছে। প্রথমে দাবি করা হয়েছিল শিবসেনার বিদ্রোহী মন্ত্রীর সঙ্গে ১৯ জন বিধায়ক রয়েছেন। কিন্তু সময় যতো বাড়ছে, সেই সংখ্যা তত বাড়ছে।
' বিশ্বাসঘাতক নই, বালা সাহেবের আদর্শ ভুলিনি', কাকে বার্তা দিলেন শিন্ডে
এখন শোনা যাচ্ছে শিবসেনার ৩৪ জন বিধায়ক বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন। তাঁর মধ্যে মহারাষ্ট্রের তিন জন মন্ত্রী রয়েছেন। এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ৩৪ জন বিধায়ক ও মন্ত্রী সমর্থন করলে বিজেপি ও তার মিত্র শক্তিরা ম্যাজিক সংখ্যা পেরিয়ে যাবে। বিজেপির সমর্থনে ১১৩ ও ৩৪ মিলিয়ে মোট আসন দাঁড়াবে ১৪৭। কিন্তু এমভিএ সরকারের কতজন বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থন করবে, তার ওপর মহারাষ্ট্রের ভাগ্য নির্ভর করছে।