অসমের বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। অসমে বন্যা ও ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমের ৩২টি জেলা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাজ্য জুড়ে প্রবল বন্যায় ৪৭ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। অসমের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে দুই লক্ষের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা ও ভূমিসের কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যার জেরে অসমের বারাক উপত্যকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে বারাক নদীর জল। বারাক উপত্যকায় বন্যা কবলিত স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য ১০৫ জন উদ্ধারকর্মীকে পাঠানো হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষকে উদ্ধার করতে গিয়ে দুই পুলিশ আধিকারিক ও এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে বলে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।
নদীর প্রবল স্রোতে তাঁরা তলিয়ে গিয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র, কপিলি, বেকি, পাগলদিয়া, পুথিমারীর নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। লক্ষাধিক বাড়ি জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে। বন্যা কবলিত বাসিন্দারা অনেক জায়গায় খোলা আকাশের নীচে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রবল বৃষ্টির কারণে ত্রাণ পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে।
অসমে বন্যা পরিস্থিতিতে রাজ্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিএসএফ উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির জন্য করিমগঞ্জ জেলায় সমস্ত স্কুল ও সরকারি অফিস ২৩ জুন পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে ৮১০টি মোট ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ৬১৫টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে। আকাশপথে ত্রাণ বিতরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার শিলচর ও কাছাড় থেকে তিন হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্যা কবলিত মানুষের কাছে দ্রুত ত্রাণ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বন্যা পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের অনেক জায়গাতেই সড়ক পরিষেবা ব্যহত হয়েছে। আকাশ পথে হলেও বন্যা কবলিত মানুষের কাছে ত্রাণ পাঠাতে হবে বলে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি ট্যুইটারে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মৌসম ভবন গুয়াহাটিতে ভারি বৃষ্টিপাতের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে। মৌসম ভবনের তরফে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, গুয়াহাটি ও তার আশেপাশের অঞ্চলে আগামী দুইদিন বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
অসমে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে এক বাবাকে নবাজতককে নিয়ে জলমগ্ন রাস্তা পার হতে দেখা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, শিলচরের ভিডিওটি।
বিজেপিকে বাঁচাতে পাঁচ দফা 'প্রস্তাব’! বিদ্রোহীদের নিশানায় সেই সুকান্ত-অমিতাভরাই