ডামাডোল অব্যাহত ইস্টবেঙ্গলে। সোমবারেও চুক্তির খসড়া ক্লাবকে পাঠায়নি বিনিয়োগকারী সংস্থা। এরই মধ্যে ক্লাবের এক ঝাঁক প্রাক্তনী ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্লাব কর্তাদের উপর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনিয়োগকারী হিসেবে 'ইমামি'র নাম ঘোষণা করেছেন তা প্রায় এক মাস হয়ে গেলেও এখনও ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে মূল চুক্তি সই হয়নি। প্রাক্তনীদের আশঙ্কা এই টানাপোড়েনে আখেড়ে ক্ষতি হবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেরই। তাঁরা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, আইএসএল-এর মানের দল মাঠে না নামাতে পারলে দেশের শীর্ষ লিগ খেলার কোনও প্রয়োজন নেই।
এরই মধ্যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকলো মঙ্গলবার বিকেলে এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে ইমামির সঙ্গে বিগত কয়েকটি বৈঠকে যে যে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সেই সেই বিষয়ে এবং একই সঙ্গে দল গঠন ও প্রাক্তন ফুটবলারদের পাঠানো চিঠি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। ক্লাব আশা করছে এই সপ্তাহের মধ্যেই লেসলি ক্লডিয়াস সরণির তাঁবুতে চলে আসবে চুক্তির খসড়া।
অন্য দিকে, লাল-হলুদের এই ডামাডোলের জেরে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য আর অপেক্ষা করতে পারলেন না শঙ্কর রায়। এক বছরের চুক্তিতে পুরনো ক্লাব মহমেডান স্পোর্টিং-এ সই করলেন তিনি। এই ঐতিহ্যশালী সাদা-কালো ক্লাব থেকেই তারকা গোলরক্ষক হয়ে ওঠা শঙ্করের। বিনিয়োগকারী ইমামি গোষ্ঠী কোয়েস এবং শ্রী সিমেন্ট-এর মতো বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের আচরণ দেখেছে এবং তারা ওয়াকিবহল লাল-হলুদের সাবেক কর্তাদের নিয়ে। তাই সই না হওয়া পর্যন্ত দল গঠনের কাজে তারা হাত দেবেন না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। শঙ্করের মতো মহম্মদ রফিকও ক্লাব ছেড়েছেন। হীরা মণ্ডল সহ বেশ কিছু ফুটবলার এখনও ইস্পাদ কঠিন মন নিয়ে অপেক্ষা করলেও অচিরেই তাঁরাও ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারি জমাতে পারেন অন্য রাজ্যে। হীরার কাছে বেশ কয়েকটি আইএসএল-এর ক্লাবের অফার রয়েছে।