আগেই দাখিল হিয়েছে পিটিশন
এখনও পর্যন্ত, 'অগ্নিপথ'-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তিনটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে । সশস্ত্র বাহিনীর জন্য কেন্দ্রের স্বল্পমেয়াদী নিয়োগের পরিকল্পনা বিরুদ্ধে ওই পিটিশনগুলি জমা দেওয়া হয়েছিল।
কেন দাখিল ক্যাভিয়েট ?
ঘটনা হল অনেক সমস্যার মধ্যেও গতকাল থেকে অগ্নিপথের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্র চাইছে এই প্রকল্প যেন চলে , কোনও সমস্যা না হয়। আর এদিকে সেখানে আদালতে আগেই করা রয়েছে পিটিশন। সুপ্রিম কোর্ট এসব দেখে যে কোনও সময়েই কিছু জানাতেই পারে। সেটা হলে মাঝেই থামতে পারে এই প্রকল্পের কাজ। তাই এই ক্যাভিয়েট দাখিল করল কেন্দ্র
ক্যাভিয়েট এবং পিটিশন
ক্যাভিয়েট বিশেষভাবে কোনও আবেদনের কথা উল্লেখ করে না। শুনানি ছাড়াই মামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনও নেতিবাচক আদেশ না দেওয়া নিশ্চিত করার জন্য ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়।
অ্যাডভোকেট হর্ষ অজয় সিং সোমবার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন যাতে কেন্দ্রকে তার 'অগ্নিপথ' নিয়োগ পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করে। পিটিশনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে এই স্কিমের ঘোষণার ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। এর আগে, আইনজীবী এমএল শর্মা এবং বিশাল তিওয়ারি এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দুটি পৃথক পিটিশন দায়ের করেছিলেন।
অ্যাডভোকেট এমএল শর্মার দায়ের করা পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছিল যে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর জন্য শতাব্দী প্রাচীন নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল করেছে যা সাংবিধানিক বিধানের পরিপন্থী এবং সংসদীয় অনুমোদন ছাড়াই এই কাজ হয়েছে।
গত সপ্তাহে, অ্যাডভোকেট বিশাল তিওয়ারি তার আবেদনে সুপ্রিম কোর্টকে এই প্রকল্পটি এবং জাতীয় নিরাপত্তা এবং সেনাবাহিনীর উপর এর প্রভাব পরীক্ষা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করার আহ্বান জানায়। সরকারী সম্পত্তি ধ্বংস হয় এর জেরে। তাই এর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য একটি সিট গঠনের জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করে।
'অগ্নিপথ' স্কিম
১৪ জুন কেন্দ্র 'অগ্নিপথ' স্কিমটি ঘোষনা করার পরে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই প্রকল্পের অধীনে, সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের মধ্যে যুবকদের চার বছরের জন্য সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে বলে বলা হয়। সময় পেরিয়ে গেলে এদের বেশিরভাগকেই বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণ করতে হবে গ্রাচুইটি ছাড়াই এবং নেই পেনশনেত সুবিধাও। তাই ক্ষোভ চরমে পৌঁছে যায়।
পরে, সরকার বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার জন্য ২০২২ সালে নিয়োগের জন্য বয়সের ঊর্ধ্ব সীমা বাড়িয়ে ২৩ বছর করে। বেশ কয়েকটি বিরোধী দল, সেই সঙ্গে কিছু সামরিক প্রবীণ, এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন যে চার বছরের মেয়াদ সৈন্যদের লড়াইয়ের মনোভাবকে আঘাত করবে।