নষ্ট করা সরকারি সম্পত্তির দাম দিতে হবে বিক্ষোভকারীদেরই, জানাল বারাণসী প্রশাসন

অগ্নিপথে হিংসাত্মক বিক্ষোভ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে৷ কোথাও জ্বালানো হয়েছে ট্রেন আবার কোথাও ভাঙচুর চালানো হয়েছে সরকারি সম্পত্তিতে৷ উত্তরপ্রদেশে এরকম হিংসাত্মক ভাঙচুরের সঙ্গে যুক্তদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে আগেই বিতর্ক তৈরি করেছিল যোগী সরকার৷ এবার সেখান থেকে এক ধাপ এগিয়ে বারানসি প্রশাসন জানাল, বিক্ষোভের নামে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসকারীদের থেকেই ক্ষতিপুরণ আদায় করবে তারা৷

বিক্ষোভের নামে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ!

অগ্নিপথ সামরিক নিয়োগ প্রকল্প নিয়ে হিংসাত্মক বিক্ষোভে জড়িতদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছে বারানসি প্রশাসন৷ এই কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলেই অভিযুক্তদের কাছ থেকে ক্ষতি হওয়া সরকারী সম্পত্তির ক্ষতিপুরণ আদায় করবে বারাণসী প্রশাসন। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন বারাণসী পৌরসভার এক কর্মকর্তা। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কৌশল রাজ শর্মা বলেছেন যে ১৭ জুন বিক্ষোভে ৩৬ টি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১২.৯৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি এও বলেন এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে৷ আরও বেশ কিছু লোককে ভাঙচুরে জড়িত থাকার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।

হিংসাত্মক বিক্ষোভকারীদের তথ্য জোগাড় করছে বারাণসী প্রশাসন!

বারাণসী পৌরসভার এক আধিকারিকও বলেছেন, বিক্ষোভের সময় যে সমস্ত সরকারী সম্পত্তির ধ্বংস হয়েছে সেগুলিরও তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, যারা এই ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করবে প্রশাসন৷ তিনি আরও বলেন যে এই ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে আরও তথ্য সরকারি কর্মচারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ বারাণসীর গ্রামীণ এলাকায় 'গোপন' সূত্রে এবং অন্যান্য জেলার আধিকারিকদের কাছ থেকেও হিংসাত্মক বিক্ষোভকারীদের তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে! এর আগে বারানসির ম্যাজিস্ট্রেট যুবদের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন যে তাদের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে 'বিভ্রান্ত' হওয়া উচিত নয় এবং এমন কোনও বিশৃঙ্খল কাজে লিপ্ত হওয়া উচিত নয় যা তাদের ভবিষ্যত নষ্ট করতে পারে।

অগ্নিপথে চাকরি পেতে গেলে দিতে হবে 'হিংসাত্মক বিক্ষোভ' না করে থাকার মুচলেকা!

প্রসঙ্গত, দেশের সামরিক নেতৃত্বের বড় অংশও বলেছে যে অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদনকারীদের মুচলেকা দিতে হবে যে তারা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে কোনোরকম অগ্নিসংযোগ বা হিংসাত্মক আন্দোলনে অংশ নেয়নি। সামরিক বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী বলেছেন, 'ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভিত্তি হল শৃঙ্খলা। এখানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের কোনো স্থান নেই। অগ্নিপথ প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীদের প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি ঘোষণাপত্র দিতে হবে যে তারা অগ্নিপথ বিরোধী প্রতিবাদ বা ভাঙচুরের অংশ ছিল না। পুলিশ ভেরিফিকেশন এটি ১০০ শতাংশ প্রয়োজনীয় এবং এটি ছাড়া কেউ অগ্নিপথে যোগ দিতে পারবে না৷ এবং এই ঘোষণারও সঠিক তদন্ত করবে পুলিশ।

শিবসেনা বিধায়করা এনসিপি-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, উদ্ধবকে বিজেপির সঙ্গে জোট-বার্তা একনাথেরশিবসেনা বিধায়করা এনসিপি-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, উদ্ধবকে বিজেপির সঙ্গে জোট-বার্তা একনাথের

More ARMY News  

Read more about:
English summary
The protesters will have to pay the price for the destroyed government property, the Varanasi administration said
Story first published: Tuesday, June 21, 2022, 20:16 [IST]