বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের বন্ধন ছিন্ন করে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সরকার গড়েছিল শিবসেনা। কিন্তু শিবসেনার বিধায়করা আর অপর গেরুয়া পার্টি বিজেপি ভিন্ন চলতে চাইছে না। শিবসেনা বিধায়করা বিজেপির সঙ্গে জোট চান বলে স্পষ্ট দাবি করলেন বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে স্পষ্ট করেই সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিবসেনা নেতা মিলিন্দ নার্ভেকর মঙ্গলবার গুজরাটের সুরাতে শিবির করা একনাথ শিন্ডে এবং অন্যান্য বিদ্রোহী দলের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। প্রায় দুই ঘন্টা তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেই সময় মিলিন্দ নার্ভেকর একনাথ শিন্ডেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বাধ্য করেন। তখনই তিনি বিধায়কদের মনের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে ৩৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। তিনি তা জানিয়ে বলেন, উদ্ধব ঠাকরে যদি বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা গড়তে প্রস্তুত হন, তবে শিবসেনা পার্টিতে কোনও বিভাজন আসবে না। আর শিবসেনা যদি এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সরকার চালাতে চায়, তবে শিবসেনার বিভাজন অবশ্যম্ভাবী।
সূত্রের খবর, একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে আরও বলেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর পদের দিকে তাঁর কোনও নজর নেই এবং তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও কোনও দরকার নেই। তিনি শুধু শিবসেনা বিধায়কদের ইচ্ছার মর্যাদা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এদিন একনাথ শিন্ডেকে শিবসেনার পরিষদীয় নেতার পদ থেকে অপসারিত করা হয়।
একনাথ শিন্ডে বলেন, শিবসেনা কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা এই সরকারের কাজে খুশি নয় বলে জানিয়েছেন। এবং বিজেপির সঙ্গে তারা জোট সরকার চাইছেন বলে দাবি করেছেন একনাথ। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এ প্রসঙ্গে একনাথ শিন্ডেকে জানা, শিবসেনা নেতা ও কর্মীদের হয়রানি করছে বিজেপি। তাঁদের উত্যক্ত করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সঙ্কটে রাশ থাকবে কার হাতে? গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে নির্দলের বিধায়করা
বিজেপির সঙ্গে জোটের প্রস্তাব শুনে উদ্ধব ঠাকরে একনাথ শিন্ডেকে বলেন, বিজেপিও অতীতে শিবসেনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তার প্রতিক্রিয়ায় একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, আমি শিবসেনা বিধায়কদের কথা আপনাকে জানালাম। এবার সিদ্ধান্ত নেবেন আপনি। তিনি বলেন, সুরাতে যে সমস্ত বিধায়করা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন, তাঁদের এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সারিবদ্ধ সরকার চালানোর ব্যাপারে অনীহা রয়েছে। তাই আজ তারা বিদ্রোহী। এবার আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কী করবেন।