ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে যারা
কেন্দ্রের অভিযোগ ভুয়ো খবর ছড়িয়ে একশ্রেণির মানুষ অগ্নিপথ নিয়ে হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন। ভুয়ো খবর ছড়ানো এবং যুবকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিহারের মতো রাজ্যে তরুণদের উস্কে দিতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করা সংক্রান্ত বিষয়েও নজরদারি করছে কেন্দ্র।
পিআইবির ফ্যাক্ট চেক লাইন
অগ্নিপথ নিয়ে যাতে আরও হিংসা ছড়িয়ে না পড়ে, এবং সাধারণ মানুষ এবং সেনাবাহিনীতে চাকরি প্রার্থীদের হাতে সঠিক তথ্য যায়, সেই কারণে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে তথ্য যাচাই করতে একটি ফ্যাক্ট চেক লাইন খোলা হয়েছে। এব্যাপারে 87997 11259-এই নম্বর দেওয়া হয়েছে।
পিছনে অনুশীলন-সংস্থাগুলিও
বিহার-সহ বেশ কিছু রাজ্যে সেনাবাহিনীর নিয়োগের প্রত্যাশীদের জন্য বেশ কিছু ইনস্টিটিউট রয়েছে। তারা চাকরির পরীক্ষায় সাহায্য করার মতো সেনাবাহিনীর নিয়োগের পরীক্ষায় সাহায্যকারীর ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই ধরনের সংস্থাগুলিও তরুণদের উস্কানির পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্র। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত ১৭ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত বিহারের ১২ টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়া হয়। এমন কী বিহারের ওপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনগুলি যাতে আপাতত দিনের বেলায় না চলে, তারও বন্দোবস্ত করেছে পূর্ব মধ্য রেল।
অগ্নিপথ প্রকল্প ও সরকারের অবস্থান
এক ট্রেনে আগুন লাগানো হয়। প্রথমের দিকে এই প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত তথ্য কারও কাছেই ছিল না। শুধু বলা হয়েছিল, ১৭.৫ বছর থেকে ২১ বছরের বয়সীরা অগ্নিপথ প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। চাকরির মেয়াদ ৪ বছরের। পরে ২৫ শতাংশকে আরও ১৫ বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয় সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলসের নিয়োগের ১০ শতাংশ অগ্নিবীরদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
এরপর রবিবার ৩ বাহিনীর প্রধান সাংবাদিক সম্মেলন করে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত জানান। তাঁরা বলেন সেনাবাহিনীতে সংস্কারের অঙ্গ এটি। এর থেকে ফেরত যাওয়া হবে না। আর যাঁরা এই প্রকল্পে চাকরি করতে চান, তাঁদেরকে মুচলেকা দিতে হবে, কোনো দিন কোনও আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন না। এছাড়াও জানানো হয়, সিয়াচেন এবং অন্য জায়গায় থাকা সেনাকর্মীদের মতোই অগ্নিবীরদেরও একই ভাতা দেওয়া হবে। সেবার শর্তে কোনও বৈষম্য রাখা হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।