কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়। এই ঘটনা তেমনই। অবিশ্বাস্য বললেও ভুল হবে না। তবে ঘটনা বাস্তব। এক মহিলা দশ মাস বিয়ের পর জানতে পেরেছেন যে তিনি যাকে বিয়ে করেছেন তিনি পুরুষ নয়, তিনি আসলে একজন মহিলা। অবাক লাগছে ? হ্যাঁ, ঘটনা এমনই। এই রঙ্গ ভয়ঙ্কর।
জানা গিয়েছে যে ওই মহিলা ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা। তিনি দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি এমন কিছু ঘটতে পারে তার সাথে। একজন মানুষ একজনের সঙ্গে থাকছে, অথচ বুঝতে পারছেন না যে তিনি যাকে বিয়ে করেছেন তিনি আসলে বিপরীত লিঙ্গের নয় তিনি তার সম লিঙ্গের। এও সম্ভব ! বাস্তব তো সেই কথাই বলছে। মহিলা যাকে তিনি 'স্বামী' ভেবে বিয়ে করেছিলেন ১০ মাস কাটিয়ে দেওয়ার পর তিনি বিশাল ধাক্কা খেয়েছেন। একে উদ্ভট ঘটনা ছাড়া কিছু বলার থাকে না। এতদিন ঘর করার পর মহিলা বুঝতে পারেন যে বর আসলে বর নয়। সে একজন আদ্যপান্ত মহিলা।
মহিলা দাবি করেছেন যে তিনি একটি ডেটিং অ্যাপে তার 'স্বামীর' সাথে দেখা করেছিলেন এবং জানতে পেরেছিলেন যে ব্যক্তি একজন সার্জন এবং তার ব্যবসাও রয়েছে। প্রেমের পর, দম্পতি একটি একান্ত অনুষ্ঠানে বিয়ে করেন এবং এরপরেই এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। তার পরিবার থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়।
দম্পতি দক্ষিণ সুমাত্রায় চলে যায় এবং কিন্তু ওই পুরুষ রূপী মহিলা নিয়মিত মেয়ের পরিবারকে বলত টাকা দিতে। প্রথম কয়েকবার ওই ওই মহিলা বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি ভাবেননি। কিন্তু দেখেন এই ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। তিনি বিরক্ত হন । সম্পর্কে তিক্ততা শুরু হয়।
ওই মহিলা দাবি করেছেন যে তার ওই পুরুষের রুপ ধরে থাকা 'স্বামী' তার পরিবারের থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন ওই ব্যক্তিটি যাতে তাঁদের বৈধ বিয়ে না হয় তার কোনও নথি না থাকে সেই চেষ্টা করেছিলেন। তাই একদম গোপনে তাঁরা বিয়ে করেন। ঘটনার সত্যতা জানার পর কনেকে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়। কোনওভাবে যাতে সেই খবর ওই মহিলা যাতে বাড়িতে না জানাতে পারে তার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিল সে, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
তার পরিবার পুলিশের কাছে যাওয়ার পর, দম্পতিকে খুঁজে বের করা হয়। ১৪ জুন মঙ্গলবার ওই মহিলা ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।