অগ্নিপথের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে জঙ্গিদের তুলনা করে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করলেন বিজেপি বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, বিহারে বিক্ষোভকারীদের হিংসাত্মক আন্দোলনকে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জেডিইউ দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা উৎসাহ দিয়েছেন। জেডিইউ নেতারা অগ্নিপথের বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনকে স্বতস্ফূর্ত বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক।
বিসফির বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর বাচৌল বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বার বার সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন। তিনি সোমবার অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিন কেন বড় বড় ঘটনা ঘটেনি? আন্দোলনের নামে ঘটে যাওয়ার হিংসার জন্য জেডিইউ-এর শীর্ষস্থানীয় নেতার মন্তব্য দায়ী। জেডিইউ-এর ওই নেতাদের নীতীশ কুমার সমর্থন করছেন।
তিনি বলেন, মোদির বিরোধিতা করে যাঁরা জঙ্গি হামলার মতো হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, তাঁরা জানতেন নীতীশ কুমারের দলের সমর্থন পাবেন। সেই কারণে বিক্ষোভকারীরা এতটা হিংসা ছড়াতে পেরেছিলেন। ট্রেনের আগুন লাগানোর মতো সাহস পেয়েছিলেন বলে তিনি মনে করছেন।
পাশাপাশি তিনি জেডিইউ-এর নেতাদের পরামর্শকে উপহাস করেন।
জেডিইউ নেতারা বিজেপিকে মানুষের কাছে গিয়ে অগ্নিপথ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁরা মানুষকে বোঝানোর কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বলেন, মানুষের কাছে কে বেশি সক্রিয়? তিনি মনে করছেন, জেডিইউয়ের তুলনায় বিজেপি অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছে। তিনি বলেন, '১৯৫১ সাল থেকে জনসেবা করছি।
২০৫৮ সালে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠব।' নীতীশ কুমার না থাকলে জেডিইউ কোথায় যাবে তা তিনি ভেবে দেখার পরামর্শ দেন। যদিও বিহারে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা সরকার গঠন করতে পারেনি। বিহারে সরকার গঠনের জন্য বিজেপিকে জেডিইউয়ের নির্ভর করতে হয়েছে।
বার বার হরিভূষণ ঠাকুর বাচৌল বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে চলে আসেন।
তিনি গতবছর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জন্মস্থান বখতিয়ারপুরের নাম বদলের পরামর্শ দেন। তিনি 'নীতীশ নগর' রাখার বার্তা বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বখতিয়ারপুরকে মানুষ আগে জানতেন না। নীতীশ কুমারের জন্মস্থান হিসেবেই বিখ্যাত। বিহারের এই বিধায়কের মন্তব্যকে 'ফালতু কথা' বলে উল্লেখ করেছিলেন।
সৈনিক হতে চাইলে অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদন না, বললেন চিদাম্বরম
আফগান সেনাপতি বখতিয়ার খিলজির নামে বখতিয়াপুর নাম হয়েছে। এই বখতিয়ার খিলজি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেছিলেন। বিহার ও বাংলার অনেক সম্পত্তি লুঠ করেছিলেন। ইতিহাসের সঙ্গে বখতিয়ারপুরের যোগ রয়েছে বলে নীতীশ কুমার উল্লেখ করেছিলেন।