টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সেরা ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হতে চলা সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটের সেরা টুর্নামেন্টের জন্য অংশগ্রহণ করতে চলা দলগুলিকে স্কোয়াড ঘোষণার চূড়ান্ত সময় জানিয়ে দিল আইসিসি।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৫ সদস্যর দলের নাম জানিয়ে দিতে হবে দলগুলিকে। আইসিসি'র এই ঘোষণার ফলে ,সঠিক দল তৈরি করার জন্য হাতে অনেকটা সময় পেয়ে গেলেন প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং মুখ্য নির্বাচক চেতন শর্মা'র নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি। টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ঠিক স্কোয়াড বাছার জন্য হাতে এখনও চারটি সিরিজ রয়েছে ভারতের।
এই চারটি সিরিজের মধ্যে ভারতীয় দল প্রথম সিরিজে মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ২৬ জুন এবং ২৮ জুন আইরিশদের বিরুদ্ধে দু'টি টি-২০ ম্যাচ খেলবে ভারত। এর পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ খেলবে ভারতীয় দল ৭ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে টি-২০ সিরিজটি। এর পর ২৯ জুলাই থেকে ২ অগস্টের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে ভারত। এর পর ২৭ অগস্ট থেকে শুরু হতে চলা এশিয়া কাপে অংশ নেবে ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল। তবে, এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) তরফ থেকে সরকারী ভাবে এখনও কোনও তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের প্রথম একাদশের অধিকাংশ ক্রিকেটার সুযোগ পাবেন টি-২০ বিশ্বকাপে এটি প্রায় নিশ্চিত। তবে, তার মধ্যেও বেশ কিছু জায়গার জন্য লড়াই চলবে। আরাল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সারির দল খেলাবে ভারত, প্রথম দলের কিছু ক্রিকেটারকে বাদ দিয়ে যেমনটা নির্বাচকরা খেলিয়েছে ঘরেরমাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। সেখানে তরুণ ক্রিকেটারদের প্রতিভা এবং যোগ্যতার পরীক্ষা হবে। তরুণরা নিজেদের দাবি জানানোর সুযোগ পাবেন দলে। গোটা ম্যানেজমেন্টের নজর থাকবে কোন ক্রিকেটার কেমন করছে সেই দিকে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আইপিএল-এর পর পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে প্রথম মাঠে নামবে ভারত। এই একই দলই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে উড়ে যেতে পারে এবং সেই স্কোয়াডে কিছু তরুণ ক্রিকেটারকেও সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এশিয়া কাপের আগেই কোর টিম হয়তো গড়ে ফেলবেন রাহুল দ্রাবিড়। এশিয়া কাপে সেই দলকেই খেলিয়ে দেখা হতে পারে।