তৃণমূলই বিজেপির বিনাশ ঘটাবে ত্রিপুরায়
সুরমার জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বিজেপিকে। আর তৃণমূল নিয়ে গর্ব করে বলেন, দেশের ১৭০০ রাজনৈতিক দলের মধ্যে তৃণমূল একমাত্র দল, যারা বুক চিতিয়ে লড়াই করে। এই তৃণমূলই বিজেপির বিনাশ ঘটিয়ে ত্রিপুরায় সুশাসন ফেরাবে।
আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছি বিজেপির অপশাসন দূর করতে
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিজেপির চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে জানে। বিজেপি তাই আমাদের ধমকে-চমকে বসিয়ে রাখতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। বিজেপি যত এজেন্সির প্রয়োগ করেছে, ততই আমাদের জেদ বেড়ে গিয়েছে। সেই জেদ থেকেই আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছি বিজেপির অপশাসন দূর করার ব্যাপারে।
ত্রিপুরায় চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রেক্ষাপটে
২৩ জুন ত্রিপুরায় উপনির্বাচন। চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন বিজেপির কাছে অ্যাসিড টেস্ট হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সম্প্রতি বাধ্য হয়েছে ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে। বিপ্লব দেবের বদলে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মানিক সাহা। তারপর এই উপনির্বাচনে তিনি নামছেন তাঁর পদ টিকিয়ে রাখতে। বিজেপি সম্প্রতি ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে উত্তর-পূর্বের এ রাজ্যেও। বিজেপির পরিষদীয় টিম ভেঙে একটা অংশ ফিরে গিয়েছে কংগ্রেস। আবার নিচুতলার অনেকেই তৃণমূলে এসেছে। এই অবস্থায় ত্রিপুরায় এবারের উপনির্বাচনে চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে।
বিজেপিকে ল্যাজে-গোবরে করার পর তৃণমূল
অভিষেক বলেন, বাংলায় একুশের নির্বাচনে আমরা বিজেপিকে ল্যাজে গোবরে করে হারিয়েছি। তারপরই আমরা টার্গেট করেছি ত্রিপুরাকে। ত্রিপুরার বিজেপি শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরাবাসীকে রক্ষা করতে হবে, তাঁদের সুশাসন দিতে হবে। বাংলায় বিজেপি ২০০-র টার্গেটে খেলতে নেমে ৭০-এর ঘরে আউট হয়ে গিয়েছে।
স্বৈরাচারী শক্তিকে ত্রিপুরার বুক থেকে উৎখাত করতে
এদিন উপনির্বাচনে খুঁটি্ পুজোর করে বলে যাচ্ছি বিজেপি ত্রিপুরার ৬০টির মধ্যে ৬টি আসন পাবে না ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে। আমরা খুঁটি পুজো করে দিয়েছি বিজেপির বিসর্জনের। ২০২৩-এ বিজেপির বিসর্জন নিশ্চিত। বিজেপি একটা ভাইরাস। সেই ভাইরাসকে তাড়াতে তৃণমূল নামক ভ্যাকসিনেরই দরকার। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য নেতৃত্ব পারে বিজেপির মতো স্বৈরাচারী শক্তিকে ত্রিপুরার বুক থেকে উৎখাত করতে।
বিজেপির অ্যাডভান্টেজ বিরোধী ভোট তিন ভাগে বিভক্ত
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার উপনির্বাচনে এবার বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন। এই কেন্দ্র থেকে পাঁচবার জয়ী বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে এবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তিনি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন নিজের জেতা কেন্দ্রে। সেখানে তৃণমূল ও সিপিএমও শক্তিশালী প্রার্থী দিয়েছেন। ফলে এবার লড়াই জমজমাট। বিজেপির অ্যাডভান্টেজ এখানেই যে, বিরোধী ভোট তিন ভাগে ভাগ হচ্ছে।