কী বলছেন এয়ারটেলের সিটিও?
অন্য একটি সরকারি সূত্র দাবি করেছে যে ১৩টি ভারতীয় শহর প্রথম পর্যায়ে ৫জি সংযোগ পাবে। পিটিআই রিপোর্টেও বলা হয়েছে যে মন্ত্রী বৈষ্ণব যভারতের ইন্টারনেট ডেটার দাম নিয়ে বলোচনা করছেন। ভারতে প্রায় ২ ডলার (প্রায় ১৫৫ টাকা) হারে মাসে ইন্টারনেটে খচর হয়৷ যেখানে বিশ্বব্যাপী গড় ডেটার মাসিক মূল্য প্রায় ২৫ ডলার(যা প্রায় ১৯০০ টাকা)। এই বছরের শুরুতে এয়ারটেলের সিটিও রণদীপ সেখনও একই রকম বিবৃতি দিয়েছিলেন৷ সরকারি সূত্রেই বলা হয়েছে যে, ভারতে ৫জি এবং ৪জি ট্যারিফগুলি দামে বিশেষ পার্থক্য হবে না।যদিও এয়ারটেলের সিটিও সেখন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, স্পেকট্রাম নিলামের পরেই আমরা চূড়ান্ত খরচ জানতে পারব৷ আপনি যদি অন্যান্য দেশের বাজারের দিকে তাকান, যেখানে অপারেটররা ইতিমধ্যেই ৫জি পরিষেবা শুরু করেছে সেখানেও তাদের এর জন্য অতিরিক্ত চার্জ করতে দেখা যায়নি!
আরও কী বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বৈষ্ণব?
অন্যদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে ভারতের গড় ডেটা খরচ প্রতি মাসে ১৮জিবি যা প্রতি মাসে ১১জিবি এর বৈশ্বিক গড়কে ছাপিয়ে গেছে। যাইহোক, ২০২২ এর মে মাসে ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সে (গড়) ভারত এখনও অনেক দেশের থেকে পিছিয়ে রয়েছে। ডেটা দেখায় যে গড় গ্লোবাল মোবাইল স্পিড পারফরম্যান্স সূচকে ভারতের অবস্থান ১২৫ যেখানে দেশটি গড় গ্লোবাল ফিক্সড ব্রডব্যান্ড পারফরম্যান্সে ৭৯-এ দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বৈষ্ণও মিডিয়া সামিটে ৫জি সম্পর্কিত কিছু উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
প্রথম ধাপে কোথায় কোথায় পরিষেবা?
সংবাদ সংস্থাগুলির মতে, আইটি মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন যে ৫জি টাওয়ার থেকে ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড (ইএমএফ) বিকিরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই কারণ ভারতে অন্যান্য দেশের তুলনায় 'আরও কঠোর' নিয়ম রয়েছে। সরকার নিশ্চিত করেছে যে মোট ৭২ গিগাহার্জ স্পেকট্রাম ৬০০ মেগাহার্জ, ৭০০ মেগাহার্জ, ৮০০ মেগাহার্জ, ৯০০ মেগাহার্জ, ১৮০০ মেগাহার্জ, ২১০০ মেগাহার্জ, ২৩০০ মেগাহার্জ, ৬২ গিগাহার্জ এবং ৩৩০ সহ বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড জুড়ে নিলাম করা হবে। বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, দিল্লি, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, জামনগর, হায়দ্রাবাদ, পুনে, লখনউ, মুম্বাই এবং কলকাতাতে প্রাথমিকভাবে ৫জি পরিষেবার কথা ভাবছে কেন্দ্র৷