একদিকে অগ্নিবীর নিয়োগ নিয়ে দেশে সমস্যা চলছে। আর সেই সেনারাই এবার খতম করলেন সাত জন জঙ্গিকে। দুটি এনকাউন্টার হয় উপত্যকায়। তাতেই নিরাপত্তারক্ষীরদের হাতে নিকেশ হয়েছে একসঙ্গে সাতজন সন্ত্রাসবাদী। সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি আলাদা এনকাউন্টার হয়। তাতেই মোট সাত জন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলওয়ামা, কুলগাম এবং কুপওয়ারা থেকে এনকাউন্টারের খবর পাওয়া মিলেছে।
পুলওয়ামায়, সোমবার ভোরবেলা নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে এনকাউন্টারের সময় এক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। গুলির লড়াইয়ের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই কথাই জানিয়েছে সেনা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে যে এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান চলছে। কোথাও আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কি না তা নিয়ে চলছে অভিযান।
অপর লড়াইটি হয় কুপওয়ারায়। পুলিশ, সেনাবাহিনীর সঙ্গে কুপওয়ারায় সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে ব্যাপক ফুলির লড়াই হয়। এই অভিযানের সময় রবিবার দুই পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সহ মোট চার সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করা গিয়েছে বলে খবর মিলেছে।
সোমবার, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে যে একটি এনকাউন্টার চলাকালীন আরও দুই সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। কুলগাও থেকেও গুলির লড়াইয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই যুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী দুই সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আপত্তিকর উপকরণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
তবে মে মাস থেকে উপত্যকায় বাড়ছে জঙ্গি হামলা। মারা যাচ্ছে সাধারন মানুষ। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের বদগামে হামলায় একজন আহত হন। একজন মারা গিয়েছে। কুলগাও জেলায় এর কিছু পরেই এক হামলায় একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নিহত হন।
পুলিশ জানায়, এই হামলায় দিলকুশ কুমার ও গুরি নামে ওই শ্রমিক আহত হয়। গুরিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়, কুমারকে শ্রীনগরের এসএমএইচএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি মারা যান। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং রাত ৯.১০-এর দিকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়।
কুলগাম জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত এক হিন্দু শিক্ষকের মারা যান। বুধবার তাঁর দেহ দাহ করার একদিন পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এরপরে উপত্যকা থেকে স্থানান্তরের দাবিতে চাপ দিতে শত শত কাশ্মীরি পণ্ডিত কুলগাম এবং শ্রীনগরে মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি) বিরোধী স্লোগান দেয় এবং বিচার দাবি করে।
কেন্দ্র, ৬ এপ্রিল, সংসদকে জানিয়েছিল যে কাশ্মীর উপত্যকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের হত্যা ২০২১ সালে শীর্ষে ছিল, কারণ ২০১৯ সাল থেকে ১৪ জন হিন্দুর মধ্যে চারজন কাশ্মীরি পণ্ডিত সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত হয়েছিল। উপত্যকার অনন্তনাগ, শ্রীনগর, পুলওয়ামা এবং কুলগাম জেলা থেকে হত্যার খবর পাওয়া মেলে পরে।