ভারত-পাকিস্তান কথাটা শুনলেই প্রথমে মাথায় স্ট্রাইক করে 'চিরশত্রু' দুই দেশ। মাথায় চলে আসে দেশ ভাগ, ১৯৬২, ১৯৭১, কার্গিল-সব অজস্য একাধিক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, ক্রিকেট মাঠেও এই দুই দেশের শত্রুতা গোটা বিশ্ব জানে। তাই এই দুই দেশের ম্যাচকে ক্রিকেটে বলা হয়, 'মাদার অব অল ম্যাচ'। সব সময়ে মাঠের মধ্যে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা বিরাট কোহলি, বাবর আজমকে এ বার দেখা যেতে পারে একই দলের হয়ে খেলতে।
সূত্রের খবর, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) পুনরায় আফ্রো-এশিয়ান কাপ শুরু করার পরিকল্পনা করছে। এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাবর আজম, বিরাট কোহলি, শাকিব আল হাসানদের একই ড্রেসিং রুম শেয়ার করতে দেখা যাবে অদূর ভবিষ্যতে।
এশিয়ার সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠিত দল এবং আফ্রিকার সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠিত দলের মধ্যে আয়োজিত হয় এই আফ্রো-এশিয়ান কাপ টুর্নামেন্টটি। এর আগে ২০০৫ এবং ২০০৭ সালে বহুল জনপ্রিয় আফ্রো-এশিয়ান কাপ হয়েছিল। ক্রিকেট সমর্থকরা ব্যাপক ভাবে সারা দিয়েছিল এই প্রতিযোগীতায়। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই টুর্নামেন্ট শুরু করার কথা ভাবছে এসিসি। এমনটা হলে বিরাট কোহলি এবং বাবর আজমকে একই দলের হয়ে খেলতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বর্তমানে এসিসি'র প্রধানের দায়িত্বে রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ, যিনি আবার বিসিসিআই-এর সচিব। এক বহুল প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আফ্রিকান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সুমাদ দামোদর এবং এসিসির ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মাহিন্দা ভালিপুরমের সঙ্গে জয় শাহ আলোচনা করেছেন এই আফ্রো-এশিয়ান কাপ নতুন করে শুরু করার জন্য। যদি সব কিছু পরিক্লনামাফিক এগোয় তা হলে আগামী বছর অর্থা ২০২৩-এর জুন অথবা জুলাই নাগাত এই প্রতিযোগীতা আয়োজিত হবে।
২০০৫ এবং ২০০৭ সালে আফ্রো এশিয়ান কাপের জন্য গঠিত এশিয়ার সেরা দলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো কিংবন্তির সঙ্গে একই দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মহম্ম ইউসুফ, মহম্মদ আসিফ'রা। মহারাজ ছাড়াও সেই দলে ভারতীয়ের মধ্যে সুযোগ পেয়েছিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ।
এক দশকেরও বেশি সময়ে বিভিন্ন কারণে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ বন্ধ। আইসিসি'র ইভেন্টা ছাড়া এই দুই দেশ একে অপরের মুখোমুখি হয় না। কিছু ক্ষেত্রে এশিয়া কাপে মুখোমুখি হলেও, দুই দেশই এই টুর্নামেন্টকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না।