ঘোর সংশয়ের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ। শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের নতুন ইনভেস্টার হিসেবে 'ইমামি'র মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন এক মাস হতে চলল, কিন্তু এখনও সই পর্বই মেটাটে পারল না দুই পক্ষ। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইমামির জটিলতার প্রধাণ কারণ লাল-হলুদ কর্তাদের নিত্য নতুন দাবি।
সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গলের থেকে মাত্র ৬০ শতাংশ শেয়ার চেয়েছে 'ইমামি' যেখানে এর আগে বিনিয়োগকারী পাওয়ার জন্য ৭৮ শতাংশ ছাড়তে হয়েছিল সেখানে দাঁড়িয়ে ৬০ শতাংশ অত্যন্ত নগণ্য। কিন্তু এই পরিমান শেয়ারও তাঁরা ছাড়তে নারাজ। ৫০ শতাংশের এক শতাংশ বেশি শেয়ার ছাড়া নিয়েই রয়েছে আপত্তি। একই রকম ভাবে ইমামি জানিয়েছে, বোর্ড অব ডিরেক্টর যখন গঠিত হবে, সেই বোর্ডে থাকবে বিনিয়োগকারী সংস্থার ছয় জন প্রতিনিধি এবং ক্লাবের চার জন, প্রতিনিধি।
সেখানে নীতু সরকারদের দাবি নতুন বোর্ডে ক্লাবের পাঁচ জনকে রাখতে হবে। মূলত এই দুই সমস্যার কারণেই চূড়ান্ত সই আটকে রয়েছে।
শনিবার চুক্তি পত্রের খসড়া আসার কথা থাকলেও তা আসেনি। আগামী এক সপ্তাহে এই পরিস্থিতি মেটার কোনও সম্ভাবনা নেই কারণ এখনও কোনও খসড়াপত্র তৈরি হয়নি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেও আদৌ ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইমামির চুক্তি হবে কি না, সেটাই পরিষ্কার নয়। ইমামির উচ্চ পদস্থ এক আধিকারিক নাম গোপনের শর্তে জানিয়েছেন, যা পরিস্থিতি রয়েছে তাতে এই চুক্তি দিনের আলো নাও দেখতে পারে।
যা পরবর্তিতে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায় বিনিয়োগকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়ালের সঙ্গে কথা বলার পর। তিনি বলেছেন, "কিছু দিন আগে এই পুরো বিষয়টার মধ্যে আমরা এসেছি। এখনও কোনও খসড়া তৈরি হয়নি। আইনি দিকগুলি আমরা দেখছি। আগামী সপ্তাহেই বলতে পারব এই কাজটা হবে কি হবে না! তবে আমরা আশাবাদী।"
আইএসএল খেলার জন্য প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা গ্যারেন্টি মানি এফএসডিএল-কে দিতে হবে বিনিয়োগকারী সংস্থাকে। কারণ নতুন কোম্পানির গঠন করে ইস্টবেঙ্গল খেলবে আইএসএল-এ। এই টাকা ইমামি দিলে শ্রী সিমেন্ট ফিরে পাবে তাদের দেওয়া সাড়ে ১৮ কোটি টাকা যা তারাও দিয়েছিল গ্যারেন্টি মানি হিসেবে। কোনও কারণে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলে ক্লাব আবার নতুন ইনভেস্টারকে ধরে আনলে সেই টাকা ফিরত পাবে ইমামি। ফলে সব দিক দেখেই যে তারা এগোবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ইতিমধ্যেই প্রতিটা দল নতুন মরসুমের জন্য ফুটবলার সই করানো শুরু করে দিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের এই চুক্তি সমস্যা যত এগোবে ততই বিপাকে পড়বে দল গঠন। যা অবস্থা তাতে এ বারও এই দল না পাওয়া ফুটবলারের নিয়েই হয়তো স্কোয়াড গড়তে হবে লাল-হলুদকে।