'প্রতিশ্রুতি' দিয়েও যাননি বিয়ে করতে! একাধিক ধারায় প্রভাবশালী বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা বাগদত্তার

পাকা দেখার পরে বিয়ের (marriage) দিনও ঠিক। কিন্তু পাত্রই হাজির হননি। যার জেরে পাত্রের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা(case) দায়ের করা হয়েছে। পাত্র যে সে কেউ নন, ওড়িশার (odisha) শাসকদল বিজেডির (BJD) বিধায়ক বিজয়শঙ্কর দাস।

প্রতারণার অভিযোগ

বিজয়শঙ্কর দাস ওড়িশার তিরতোলের বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলা জগৎসিংপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে শুক্রবার বিবাহ নিবন্ধকেরঅফিসে যাওয়ার কথা থাকলেও বিজয়শঙ্কর দাস যাননি।

পাল্টা ওই মহিলা দাবি করেছেন, তিনি বিজয়শঙ্কর দাসের সঙ্গে বান্ধবী সোমালিকা দাসের তিন বছরের সম্পর্ক। বিধায়ক তাঁকে নির্ধারিত দিনেই বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন ওই মহিলা। তিনি বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত বিধায়কের ভাই এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁকে (ওই মহিলা) হুমকি দিচ্ছেন। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি রাখেননি বিজয়শঙ্কর। ফোনেও সাড়া দিচ্ছেন না।

একাধিক ধারায় মামলা

যেসব ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে আইপিসির ৪২০ (প্রতারণা), ২৯৪ (অশ্লীল কাজ), ৫০৯ (কোন মহিলার শালীনতার অবমাননা), ৩৪১, ১২০বি ( অপরাধী ষড়যন্ত্রের শাস্তি) এবং ৩৪ (সাধারণই অভিপ্রায়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারজন্য বেশ কয়েকজনের ব্যক্তির দ্বারা কাজ)।

১৭ মে বিবাহ নিবন্ধকের অফিসে আবেদন

জানা গিয়েছে, বিজয়শঙ্কর দাস এবং ওই মহিলা ১৭ মে বিবাহ নিবন্ধকের অফিসে আবেদন করেছিলেন। ৩০ দিনের নোটিশ দেওয়া হয়। মহিলা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুক্রবার সেখানে হাজির হয়েছিলেন। ওই দিন অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছিল। কিন্তু বিধায়ক জগতসিংপুরের সাব রেজিস্ট্রারের অফিসে উপস্থিত হননি তিন ঘন্টা অপেক্ষার পরেও, এফআইআর-এ এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। শনিবার জগৎসিংপুর থানায় ওই বিধায়ক ও তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

বিয়েতে রাজি বিধায়ক

তবে ওই বিধায়ক ওই মহিলাকে বিয়ে না করার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করার ৯০ দিনের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে হয়। সেক্ষেত্রে আরও ৬০ দিন সময় রয়েছে নিবন্ধনের জন্য। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি। তিনি দাবি করেছেন, বিবাহ নিবন্ধকের অফিসে যাওয়ার জন্য ওই মহিলা কিংবা অন্য কেউ তাঁকে বলেননি, বিধায়ক এমনটাই দাবি করেছেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে।

দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৩ বছরের বাবা, পাশ করতে পরাল না ছেলেদশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৩ বছরের বাবা, পাশ করতে পরাল না ছেলে

More ODISHA News  

Read more about:
English summary
Case files against BJD MLA Bijay Shankar Das in Odisha for failing to turn up his own marriage