আবেদনকারীদের দিতে হবে ঘোষণাপত্র!
দেশের সামরিক নেতৃত্বের বড় অংশও বলেছে যে অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদনকারীদের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তারা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে কোনো অগ্নিসংযোগ বা আন্দোলনে অংশ নেয়নি। সামরিক বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী বলেছেন, 'ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভিত্তি হল শৃঙ্খলা। এখানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের কোনো স্থান নেই। অগ্নিপথ প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীদের প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি ঘোষণাপত্র দিতে হবে যে তারা অগ্নিপথ বিরোধী প্রতিবাদ বা ভাঙচুরের অংশ ছিল না। পুলিশ ভেরিফিকেশন এটি ১০০ শতাংশ প্রয়োজনীয় এবং এটি ছাড়া কেউ অগ্নিপথে যোগ দিতে পারবে না৷ একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তথ্য স্পষ্ট করেছেন পুরী৷
কেন প্রয়োজন অগ্নিপথের?
অলিন পুরী আরও বলেছেন, 'যদি কোনও আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনো এফআইআর দায়ের করা হয়ে থাকে তাহলে তারা যোগদান করতে পারবে না। প্রার্থীদের আবেদনপত্রে এটি অংশে লিখতে বলা হবে যে তারা অগ্নিসংযোগের অংশ ছিল না এবং তাদের বক্তব্য পুলিশ যাচাই করবে। রবিবার একটি প্রতিরক্ষা ট্রাই-সার্ভিস নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় নতুন সামরিক নিয়োগ প্রকল্প সম্পর্কে সন্দেহ দূর করতে এবং সশস্ত্র বাহিনীর জন্য কেন এই নীতির প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করার সময় এই বক্তব্য রেখেছেন পুরি৷
তিন বাহিনীতে তারুণ্য আনতেই এই প্রচেষ্টা!
পুরি আরও যোগ করেছেন, কীভাবে আমাদের বাহিনীতে তারুণ্য আনা যায় সে বিষয়ে আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আমরা বিভিন্ন দেশের বাহিনী নিয়েও পড়াশোনা করেছি। আমরা সশস্ত্রবাহিনীতে তরুণদের চাই। যুবকরা ঝুঁকি গ্রহণ করতে পারে তাদের মধ্যে দেশের জন্য আবেগ রয়েছে। তাদের মধ্যে, জোশ এবং 'হোশ'(নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা) সমান অনুপাতে রয়েছে।' একই সঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সি বাঁশি পোনপ্পা বলেছেন, সেনা নিয়োগের জন্য শারীরিক কসরতের পরীক্ষা অগাস্টের প্রথমার্ধে শুরু হবে এবং অগ্নিবীরদের প্রথম গ্রুপ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ট্রেনিং শুরু করবে। দ্বিতীয় গ্রুপ ট্রেনিং শুরু করবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে। সিনিয়র অফিসার আরও বলেছেন যে সেনাবাহিনী ৪৮ টি জায়গাতে নিয়োগের জন্য সমাবেশ করবে এবং দেশের 'প্রতিটি গ্রাম'কে স্পর্শ করার চেষ্টা করবে৷