ত্রিপুরা উপনির্বাচনে তৃণমূলের মেকাবিলায় বিজেপি
ত্রিপুরা বাংলা ভাষাভাষি রাজ্য। তারপর সেখানে এবার বাংলারই শাসক দল তৃণমূল ঘাঁটি গেড়েছে। একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে বাংলায় পর্যুদস্ত করার পর প্রথম ত্রিপুরা রাজ্যেই নজর দিয়েছিল তৃণমূল। প্রায় বছরাবধিকাল ধরে ত্রিপুরায় সংগঠন শক্তিশালী করার কাজ করে চলছে তারা। এই অবস্থায় ২৩ জুন উপনির্বাচন বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায়।
বঙ্গের বিজেপি নেতারা ত্রিপুরা উপনির্বাচনের প্রচারে
ত্রিপুরা উপনির্বাচন বঙ্গ বিজেপির নেতাদের প্রচারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মূলত তৃণমূল ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোকাবিলায় বিজেপি দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ব্যবহার করতে চাইছে স্টার ক্যাম্পেনার হিসেবে। হুগলির সাসংদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে ত্রিপুরায় ত্রাণ বিলি করা হয়েছে। উপনির্বাচনের আগে প্রবল বন্যার গ্রাসে পড়েছে ত্রিপুরা। সেখানেও লকেটকে ব্যবহার করে ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি।
অভিষেকের মোকাবিলার পরিকল্পনায় বিজেপি
শুধু লকেট নন, বাংলার চার হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ত্রিপুরায়। ২৩ জুন উপনির্বাচনের আগে বাংলার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে দিয়ে ত্রিপুরার ভোট প্রচার করিয়ে তৃণমূল ও অভিষেকের মোকাবিলা করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।
ত্রিপুরা বিজেপিতে চোরাস্রোত আটকাতে পরিকল্পনা
ত্রিপুরা বিজেপিতে বেশ কিছুদিন ধরেই চোরাস্রোত বইছে। সেই কারণে উপনির্বাচনের পথে হাঁটেনি রাজ্য। বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত করে মানিক সাহাকে বসিয়ে বিদ্রোহ রুখতে চেয়েছে বিজেপি। তারপর বিজেপি উপনির্বাচনের পথে হেঁটেছে. ২০২৩-এ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই উপনির্বাচন জিতে শাসক ও বিরোধী সব পক্ষই অ্যাডভান্টেজ নিতে চাইছে।
বঙ্গের বিজেপি নেতাদের শরণাপন্ন ত্রিপুরা
বিপ্লব দেব অপসারিত হওয়া এবং মানিক সাহার দায়িত্ব নেওয়ার পরও বিজেপিতে মেটেনি কোন্দল। বিজেপির একাংশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। এখনও বিজেপি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে রয়েছে নতুন মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা নিয়ে। এই অবস্থায় বিরোধীরা যাতে কোনওভাবে ফায়দা না তুলতে পারেন, তার জন্য বঙ্গের বিজেপি নেতাদের শরণাপন্ন হয়েছেন তাঁরা।
বাংলার হেরোদের দিয়ে যুদ্ধ জিততে চায় বিজেপি, কটাক্ষ
এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে বিজেপি বাংলা থেকে নেতা-নেত্রীদের উড়িযে নিয়ে যাচ্ছে কি তৃণমূলকে ভয় পেয়েই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ ত্রিপুরা বিজেপি। তাই তাঁরা ডাকছেন বঙ্গের নেতা-নেত্রীদের। অভিষেক ও তৃণমূলকে মোকাবিলার ভার বঙ্গের নেতাদের উপর দিয়ে কংগ্রেস-সিপিএমসহ বাকি বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ত্রিপুরার বিজেপি নিতে চাইছে। বিজেপির এই অবস্থান নিয়ে তৃণমূল পাল্টা প্রচার শুরু করেছে। তৃণমূল বলছে, বিজেপির হার নিশ্চিত ত্রিপুরা। বাংলার হেরোদের দিয়ে যুদ্ধে জেতা যাবে না।