|
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের মন্তব্য
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় মধ্যপ্রদেশের ইন্ডোরে বলেছেন, তিনি যদি পার্টি অফিসে নিরাপত্তারক্ষী রাখতে চান, তাহলে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, যখন একজন অগ্নিবীর সামরিক প্রশিক্ষণ পায় এবং চার বছর পরে চাকরি ছাড়বেন, তখন তিনি ১১ লক্ষ টাকা পাবেন। পাশাপাশি অগ্নিবীরের ব্যাজও পাবেন। তিনি যদি বিজেপি অফিসের জন্য নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে চান, তাহলে তিনি একজন অগ্নিবীরকেই অগ্রাধিকার দেবেন বলে জানিয়েছেন।
|
কেজরিওয়ালের কটাক্ষ
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের এই মন্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, দেশের যুবকরা শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে। কেননা তারা সেনাবাহিনীকে যোগ দিয়ে সারা দীবন দেশের সেবা করতে চায়। তারা বিজেপিঅফিসের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাদ করতে চায় না।
কটাক্ষ কংগ্রেসেরও
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে করা মন্তব্যরে তীব্র কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। তারা বলেছে, কৈলাশ বিজবর্গীয় অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সব সন্দেহ দূর করেছেন। এদিন দলের নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী যন্তরমন্তরে গিয়ে অগ্নিপথ নিয়ে সত্যাগ্রহে বসা দলের নেতাদের সঙ্গে দেন। তিনি বলেন অগ্নিপথ নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশে রয়েছে কংগ্রেস। অগ্নিপথ দেশের যুবকদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও ধ্বংস করবে বলে মনে করেন তিনি।
|
সেনাবাহিনীকে তুচ্ছ করেছেন কৈলাশ
অন্যদিকে শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, বিজয়বর্গীয়ের মন্তব্য ইউনিফর্ম পরাদের গুরুত্বকে তুচ্ছ করেছে।অন্যদিকে এআইএমআইএম-এর নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, বিজেপি নেতারা বলছেন তাদের অফিসের জন্য চৌকিদার হিসেবে অসসরপ্রাপ্ত সেনাদের নিয়োগ করবে। এইভাবেই কি মোদীর গল সেনাদের মর্যাদা দিতে চায়। এটা কি সম্মানের পেশা নয়?
অগ্নিপথ প্রকল্প ও প্রতিশ্রুতি
গত মঙ্গলবার ১৪ জুন কেন্দ্রীয় সরকার অগ্নিপথ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে। পরের দিনই এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। আস্তে আস্তে তা গেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই পরিস্থিতিতে সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলসের ১০ শতাংশ চাকরি অগ্নিবীরদের জন্য সংরক্ষণের কথা জানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কর্নাটকের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি তাদের রাজ্যে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অগ্নিবীরদের সুযোগ দেওয়ার কথা জানায়। অন্যদিকে সেনার তরফ থেকে সতর্ক করে বলা হয় যারা হিংসায় জড়িত তাদের সেনাবাহিনীতে কোনও স্থান নেই।