'অগ্নিপথ' প্রকল্প নিয়ে বিরোধিতা চরমে পৌঁছলে প্রথম বছরের জন্য বয়সের উর্ধ্বসীমা বাড়ানোর পাশাপাশি সেনবাহিনীতে অগ্নিবীরদের জন্য সংরক্ষণের বার্তা দেওয়ার পরও থামছে না বিক্ষোভ! যা রীতিমতো চাপে ফেলছে কেন্দ্র সহ রাজ্যের সরকারগুলিকে৷ বিশেষ করে বিহার, উত্তরপ্রদেশ তেলেঙ্গানা সহ কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষোভ যেভাবে হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে তা চিন্তা বাড়াচ্ছে মোদী সরকারের৷ অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা ও বিক্ষোভ নিয়ে দশটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট রইল ওয়ানইন্ডিয়া বাংলার পাঠকদের জন্য।
এক, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সশস্ত্র বাহিনীতে তাদের চার বছরের মেয়াদের পরে 'অগ্নিপথ' নিয়োগকারীদের জন্য চাকরিতে ১০ শতাংশ নতুন কোটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বলেছেন যে তার আবাসন ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের অধীনস্থ পিএসইউগুলিও 'অগ্নিবীর'দের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে,
দুই, কেন্দ্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ এবং অসমের মতো বেশ কয়েকটি বিজেপি-শাসিত রাজ্য যুবকদের অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন সুবিধা ঘোষণা করার পরে এবার চাকরি ক্ষেত্রে তাদের সংরক্ষণের আশ্বাস দিয়েছে৷
তিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিএপিএফ এবং অসম রাইফেলে নিয়োগের জন্য অগ্নিবীরদের নির্ধারিত ঊর্ধ্ব বয়সসীমা ছাড়াও আরও ৩ বছর বয়স ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এর আগে, কেন্দ্র বৃহস্পতিবার 'অগ্নিপথ' স্কিমের অধীনে নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের জন্য ২৩ বছর বয়সের ঊর্ধ্ব সীমা বাড়িয়েছিল
চার, শনিবার ভারত জুড়ে ৩৫০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কারণ সেনায় চাকরিপ্রার্থীদের সশস্ত্র হিংসাত্মক আন্দোলন ও বিক্ষোভে বিচলিত বেশ কয়েকটি রাজ্যে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন অব্যাহত রয়েছে৷ গত চারদিনে হিংসাত্ম বিক্ষোভ ও ট্রেনে আগুন লাগানোর কারণে রেলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পাঁচ, বিহারে একটি রেলওয়ে স্টেশন এবং একটি পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করা হয়েছে এবং বিক্ষোভকারীদের পাথর নিক্ষেপের কারণে নিরাপত্তাকর্মীরা আহত হয়েছে৷ গত কয়েকদিনে বড় আকারের হিংসার কারণে ১২টি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে কিছু শহরে ১৪৪ ও জারী করে স্থানীয় প্রশাসন।
ছয়, উত্তরপ্রদেশে বালিয়ায় হিংসার ঘটনায় ৪০০ জন অজানা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। যেখন দিল্লি সংলগ্ন গৌতম বুদ্ধ নগরে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য ২২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সাত, হরিয়ানার মহেন্দরগড়ে, বিক্ষোভকারী একদল যুবক একটি পিক-আপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ভাঙচুরে লিপ্ত হয়। সোনিপাত, কাইথাল, ফতেহাবাদ এবং জিন্দেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরি প্রার্থীরা রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় 'অগ্নিপথ' স্কিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে এবং আলওয়ারে জয়পুর-দিল্লি হাইওয়ে অল্প সময়ের জন্য অবরোধ করা হয়।
আট, অগ্নিপথ নিয়ে বিক্ষোভটি কর্ণাটক এবং কেরল সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে প্রার্থীরা তাদের প্রতিবাদ প্রকাশ করার জন্য কিছু জায়গায় রাস্তায় পুশ-আপ করে৷ পশ্চিমবাংলায়, উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় ট্রেন পরিষেবা প্রায় এক ঘন্টার জন্য ব্যাহত হয়েছিল বিক্ষোভের কারণে। একদল আন্দোলনকারী রেলপথ অবরোধ করেছিল।
নয়, অগ্নিপথ নিয়ে বিরোধীরা সরকারের উপর চাপ বজায় রেখেছে। অবিলম্বে প্রকল্পটি প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে বিরোধীরা। 'অগ্নিপথ' সেনাবাহিনীর কিছু প্রবীণ সৈন্যদেরও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে, যারা যুক্তি দিয়েছেন যে চার বছরের মেয়াদ ও র্যাঙ্কের মধ্যে লড়াইয়ের মনোভাবকে আঘাত করবে এবং তাদের ঝুঁকি-প্রতিরোধ করবে।
দশ, অগ্নিপথ স্কিমের অধীনে ১৭.৫ বছর থেকে ২১ বছর বয়সী ব্যক্তিদের চার বছরের মেয়াদের জন্য সেনাবাহিনী (স্থল, জল, বায়ু) অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রসরকার৷ এই সময়ের মধ্যে, তাদের মাসিক বেতন ৩০ থেকে ৪০ হাজার ও সঙ্গেই কিছু বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে৷ তারপরে চারবছর পর বেশিরভাগের জন্য (৭৫ শতাংশ) বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
ভারত বায়েটেকের নাজাল ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ, অপেক্ষা অনুমোদনের