সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। শুধু তাই নয়, বিজেপির পালটা প্রার্থী দিতে ইতিমধ্যে একপ্রস্ত বৈঠক সেরে ফেলেছে বিরোধীরা। এমনকি বেশ কয়েকটি নাম নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। আর এর মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ একটি বক্তব্য শিবসেনা'র মুখপাত্র সামনাতে উঠে এসেছে।
সেখানে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি শিবসেনা'র মতে, বিরোধীরা যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য শক্তিশালী প্রার্থী দিতে না পারে তাহলে একজন যোগ্য প্রধানমন্ত্রী কীভাবে দেবে তা নিয়ে লোকে প্রশ্ন তুলতে পারে।
সম্পাদকীয়তে সেনার তরফে বলা হচ্ছে, মহাত্মা গান্ধীর নাতি গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহর নাম "প্রায়শই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় উঠে আসে"। কিন্তু এই নির্বাচনকে কঠিন লড়াইয়ের পরিণত করার মতো 'ব্যক্তিত্ব বা ওজন' তাদের নেই বলে কার্যত তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। তবে অন্যদিকে সরকারও যে আশ্চর্যজনক কোনও প্রার্থীকে দাঁড় করাতে পারবে সেই সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করা হয়েছে সামনাতে।
তবে গত পাঁচ বছর আগে দুই-তিন লোকজন রাষ্ট্রপতি হিসাবে রামনাথ কোবিন্দকে বেছে নেওয়া হয়। এই বছরও এমনকিছু একটা মোদী সরকার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর এরপরে রাষ্ট্রপতি হিসাবে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার জন্যে ১৮ জুলাই ভোট হবে। আগামী বুধবার থেকেই এজন্যে মনোনয়নও শুরু হয়ে যাবে। সেখানে দাঁড়িয়ে শিবসেনার এহেন বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের নামে সামনে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন না বলেই জানিয়েছেন। আর সেই প্রসঙ্গে তুলে শিবসেনা বলছে, যদি পাওয়ার নয় তো তাহলে কে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার কাজ যদি ছয় মাস আগে করা যেত, তাহলে এই নির্বাচনের প্রতি বিরোধীদের গভীরতা দেখা যেত বলে মনে করছে সেনা।
শুধু তাই নয়, যদি বিরোধীরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মজবুত প্রার্থী নাই দিতে পারে তাহলে ২০২৪ সালে সমর্থনযোগ্য প্রধানমন্ত্রী কীভাবে দেবে? আর এই প্রশ্ন মানুষের মনে এবং মাথাতে আসবে বলেই দাবি করা হয়েছে সম্পাদকীয়তে।
কার্যত সমালোচনা করে সেনা বলছে, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিরোধীদের কাছে সংখ্যা চলে আসে তবে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য "অনেক কনে সারিতে" থাকবে! এমনকি যারা এখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সুরে সরে থাকছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে উল্লেখ করে সেনা বলছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে একটি 'প্র্যাকটিস ম্যাচ'। বিরোধী দলের এটাকে (রাষ্ট্রপতি নির্বাচন) গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত বলেই সেনার মুখপাত্রে উঠে এসেছে।