|
খারাপ আম্পায়ারিংয়ে কাজ কঠিন
ইনিংসের দ্বাদশ ওভারের তৃতীয় বলে সারাংশ জৈনের বিরুদ্ধে রিভার্স স্যুইপ মারতে গিয়েছিলেন ঘরামি। জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার সুদীপ ঘরামিকে আউট দিয়ে দেন। যদিও সুদীপ দেখানোর চেষ্টা করেন বল তাঁর প্যাডে লাগার আগে ব্যাটে লেগেছে। কিন্তু ততক্ষণে আম্পায়ার সুদীপকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন। এটা দেখেই ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রশ্ন তোলেন, বিসিসিআই যখন ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিকাঠামোর উন্নতির কথা বলছে বারবার তখন রঞ্জি ট্রফিতে কিংবা বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলিতে কেন থাকবে না ডিআরএস? প্রযুক্তির ব্যবহার যে ঘরামিকে বাঁচিয়ে দিত, তা দেখা গিয়েছে রিপ্লেতেই। বল প্যাডে লাগার আগে সুদীপের ব্যাটে লাগে। কিন্তু ডিআরএস না থাকায় সুদীপকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়।
চার উইকেট পড়ল দ্বিতীয় ইনিংসে
৩২ বলে ১৯ রান করে সুদীপ প্যাভিলিয়নে ফেরেন, বাংলার দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ৪৯ রানের মাথায়। উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েলকে হঠাৎই ব্যাটিং অর্ডারে উপরে তুলে চারে নামানো হয়। মধ্যপ্রদেশের কুমার কার্তিকেয় টানা ১৯ ওভার বল করে গেলেন এক প্রান্ত থেকে। অন্য প্রান্তে পেসার অনুভব আগরওয়ালকে দুই ওভার করিয়েই সরিয়ে নেন অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তব। তারপর টানা বল করতে থাকেন সারাংশ জৈন। সম্ভবত মধ্যপ্রদেশের স্পিনারদের সামলাতেই বাংলা ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের জন্য অভিষেককে পাঠায়। কিন্তু কুমার কার্তিকেয়র ঘূর্ণিতে ঠকে তিনি বোল্ড হন ২২ বলে ৭ রান করে। ১৬.৩ ওভারে ৬০ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। এরপর মনোজ তিওয়ারি জুটি বাঁধেন ঈশ্বরনের সঙ্গে। ধৈর্য্যের পরীক্ষাও দিচ্ছিলেন। কিন্তু কার্তিকেয়র বিরুদ্ধে আগ্রাসী শট খেলতে গিয়ে তিনি গৌরব যাদবের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বসেন। মনোজ এভাবে আউট না হলে দিনের শেষে ভালো জায়গায় থাকত বাংলা। ৩৮ বলে ৭ রান করে মনোজ ফেরেন ২৮.১ ওভারে দলের ৮০ রানের মাথায়।
কঠিন লড়াই
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা ৩৭ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান তুলেছে। ৬টি চারের সাহায্যে ১০৪ বলে ৫২ রানে অপরাজিত রয়েছেন অধিনায়ক অভিমন্য়ু ঈশ্বরন। ২৫ বলে ৮ রানে ক্রিজে অনুষ্টুপ মজুমদার। ফাইনালে উঠচতে শেষ দিনে বাংলার দরকার ২৫৪ রান, হাতে ৬ উইকেট। কুমার কার্তিকেয় ১৯ ওভারে ৭টি মেডেন ওভার-সহ ৩৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। সারাংশ জৈন ১৬ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৪৪ রানের বিনিময়ে নেন ১টি উইকেট। মধ্যপ্রদেশের দ্বিতীয় ইনিংস আজ শেষ হয় ২৮১ রানে। শাহবাজ আহমেদ পাঁচটি ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক চারটি উইকেট নেন।
|
ফাইনাল নিশ্চিত মুম্বইয়ের
বেঙ্গালুরুতে অপর সেমিফাইনালে মুম্বই উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে রানের পাহাড় গড়েছে। মুম্বইয়ের ৩৯৩ রানের জবাবে উত্তরপ্রদেশ ১৮০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে আজ দিনভর ব্যাটিং চালিয়ে গিয়ে আপাতত মুম্বই এগিয়ে ৬৬২ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বই দিনের শেষে ৪ উইকেটে ৪৪৯ রান তুলেছে। যশস্বী জয়সওয়াল গতকাল প্রথম রান পেয়েছিলেন ৫৪তম বলে। আজ তিনি ৩৭২ বলে ১৮১ রান করে আউট হন। আরমান জাফর ২৫৯ বলে ১২৭ রান করেন। এসএম কাদরি, উদয় মার্চেন্ট, দাত্তু ফাড়কর, বিনোদ কাম্বলি, সচিন তেন্ডুলকর, রোহিত শর্মা, অজিঙ্ক রাহানে, ওয়াসিম জাফরের পর রঞ্জি ম্যাচে দুই ইনিংসেই শতরানের নজির গড়লেন যশস্বী জয়সওয়াল।