কলকাতা পেতে চলেছে বিশ্বমানের টেবিল টেবিল একাডেমি। দেশে অনেক খেলার উন্নতি হচ্ছে। এগিয়ে চলেছে টেবিল টেনিস। এই বাংলা থেকেই রয়েছেন চার অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। পৌলমী ঘটক, সৌম্যদীপ রায়, মৌমা দাস, শুভজিৎ সাহাদের কে না চেনে। চরম খারাপ পরিকাঠামোর মধ্যে খেলে তারা দেশের জন্য একের পর এক মেডেল এনে দিয়েছেন। এত কষ্ট করতে যাতে না হয় তার জন্য একদম বিশ্বমানের টেবিল টেবিল পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে কলকাতার বুকে।
শহরে তৈরি হচ্ছে ইডেনের বিকল্প মাঠ। তা নিয়ে বিস্তর লেখালিখি হয়েছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। হয়েছে ফলো আপ খবর। কারণ সামনে রয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলির মতো নাম এবং ক্রিকেটের মতো খেলা। কিন্তু বিশ্ব মঞ্চে যারা বছরের পর বছর খারাপ পরিকাঠামোতে খেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তাদের চেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে টেবিল টেনিসের মতো অলিম্পিক স্তরের স্পোর্টস ইভেন্ট তা নিয়ে খবর ? না মিলবে না।
অথচ তারা পৌলমী ঘটক, সৌম্যদীপ রায়রা তাঁদের মঞ্চে সেরা। পেয়েছেন অর্জুন পুরস্কার। তাঁদেরকে যিনি সাহায্য করছেন তিনিই একই ব্যক্তিত্ব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ এই খেলাটার জন্য যে একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় আসতে চলেছে তার খোঁজ খবর নেই। সেই কথা জানালেন পৌলমী ঘটক।
টেবিল টেনিসের অগ্রগতির জন্য কোন ধরণের পরিকাঠামোর প্রয়োজন এই কথা বলতেই তিনি সুন্দর ভবিষ্যতের কথা জানালেন। বললেন, "আমি, সৌম্যদীপ , মৌমা , শুভজিৎ যে পরিকাঠামোতে খেলে বড় হয়েছি সেটা ভাবা যায় না। সাইয়ের চাল ভাঙা ঘর সেখানে প্র্যাকটিস করতাম আমরা। বৃষ্টি পড়ছে হু হু করে জল ঢুকছে ফাটা চাল দিয়ে। বেশি রোদ, সরাসরি এসে পড়ছে বোর্ডে। বল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। রোদ , জল বাঁচিয়ে প্র্যাকটিস করতে আমরা একবার টেবিল একবার এদিক, একবার ওদিক , একবার সেদিক। এই করতাম। তো এই ছিল পরিস্থিতি। আমার তো ২০০০ সাল থেকে কোনও কোচও ছিল না। একাই যা করার করেছি। যা যা পদক পেয়েছি বা সম্মান তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম আগামী দিনটা এই খেলাটার ভালো হোক। সেটা এখন হচ্ছে'।
পৌলমী বলেন, ' ধানুকা ধানসিড়ি স্যারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা জমি দেন আমাদের স্পোর্টসকে ডেভলপ করার জন্য। উনি টেবিল টেনিস বেছে নেন। তাই বাংলায় তৈরি হচ্ছে নতুন টেবিল টেনিস একাডেমি। একটা পাঁচতলা বিল্ডিংয়ে ৩০টা টেবিল, পঞ্চাশটা বাচ্চার থাকার জায়গা, জিম, ক্যাফেটেরিয়া , স্টাডি রুম, ফিটনেস ট্রেনিং করার জায়গা থাকবে। যে বাচ্চারা ভালো খেলবে তাদের আরও ভালো করে তৈরি করা হবে।
বিদেশে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হবে। টুর্নামেন্টে কীভাবে যাওয়া যাবে সেই রাস্তা ওই একাডেমি থেকে পাওয়া যাবে। আনা হবে বিদেশি কোচ। আর আমরা তো আছিই। আমাদের যত অভিজ্ঞতা, দক্ষতা যা আছে এটা সেই সময় এসে গিয়েছে যেটা আগামী প্রজন্মকে দেওয়া যায়। সেটা আমরা করব। আগামী বছর এই সময়ে ওই একাডেমী তৈরি হয়ে যাবে। এরকম জায়গা থাকলে আমাদের অলিম্পিকে পদকের সম্ভানা আরও উজ্জ্বল হবে।"
বিশ্বমঞ্চে দুই পদক ক্ষুদের, কলকাতার সিন্ড্রেলা ছুটছে 'হারানো পদকের' খোঁজে