দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এখনও ঢোেকনি ভাল করে। তার আগেই বঙ্গ বাসীর জন্য সুখবর নিয়ে এলেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারে ঢুকল কয়েক টন রূপোলি শস্য। বর্ষার আগেই কি এবার রসনা পূর্তি হবে বঙ্গবাসীর। আশায় বুক বাঁধছে আম বাঙালি। গত তিন বছরে রূপলি শস্যের যাকে বলে খরা গিয়েছে। এবার হঠাৎ করে ডায়মন্ড হারবারে আষাঢ়ের প্রথমেই এই প্রচুর পরিমাণে ইলিশের যোগান আশা জাগাচ্ছে।
ইলিশ প্রেমী বাঙালির জন্য সুখবর। কয়েক টন ইলিশ জালে উঠেছে মৎস্যজীবীদের। ডায়মন্ড হারবারের আরতে হাজির প্রায় আড়াই থেকে তিন টন ইলিশ এসেছে। তাতেই ইলিশের রসনা তৃপ্তির আশায় রয়েছে আম বাঙালি। কারণ গত ৩ বছরে যাকে বলে ইলিশের খরা গিয়েছে বঙ্গে। পদ্মার ইলিশ তো দূরর কথা সাধারণ ইলিশের দেখাও তেমন মেলেনি রাজ্যে। এক প্রকার ইলিশ খাওয়ার ইচ্ছে মনে চেপে রেখেই কেটে গিয়েছে পুজো-পার্বন।
এবার বর্ষা এখনও এসে পৌঁছয়নি দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে প্রবল বর্ষণ চলছে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার কথা। তার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বর্ষা শুরুর আগেই হাজির ইলিশ। ডায়মন্ড হারবার আড়তে সাড়ে চারশো থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রায় আড়াই থেকে তিন টন ইলিশ ঢুকে পড়েছে। পাইকারি দর ৬০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। মরশুমের প্রথমেই এই বিপুল পরিমাণ ইলিশ জালে ওঠায় আশার আলো দেখছেন মৎস্যজীবীরা।
মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৪ জুন শেষ হয়েছে সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা। ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ
ধরার মরশুম। সামুদ্রিক মাছ ও ইলিশের প্রজননের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘি, সাগর, ডায়মন্ড হারবার, পাথরপ্রতিমার প্রায় তিন হাজার মৎস্যজীবী সমুদ্রে মাছ ধরা শুরু করেছেন। প্রথম শিকারেই জাল ভর্তি রূপোলি শস্য দেখে খুশির হাওয়া মৎস্যজীবীদের মধ্যে।