গত সপ্তাহের হিংসার পর থেকে বন্ধ মুসলিম দোকানপাট!
মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার বেশিরভাগ দোকান গত শুক্রবার থেকেই বন্ধ রয়েছে এবং বাসিন্দারা বাড়ির ভেতরে থাকতেই স্বছন্দ বোধ করছেন। স্থানীয় প্রশাসনও চারজনের বেশি লোকের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে তারা কেবল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্যই বাইরে বেরোচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মাদ কাদির বলেন, আমি শুধু কিছু দুধ কিনতে বের হয়েছিলাম এবং এখন আমি বাড়ি ফিরছি।'
শান্তি রক্ষার্থে ২০ জন জোনাল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ!
এদিন প্রয়াগরাজের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় কুমার ছেত্রী, সিনিয়র পুলিশ সুপার অজয় কুমারের সঙ্গে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা সকলের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছি। কোনও রকম অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন ২০ জন জোনাল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছে৷ পুরনো শহরের চারটি থানা এলাকার জন্য পাঁচজন এবং প্রতিটি স্টেশনের জন্য ১২ জন সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ করা হয়েছে। দু'জন অতিরিক্ত সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট পার্শ্ববর্তী এলাকার দায়িত্বে থাকবেন।
কি বলছেন ছেত্রী?
ছেত্রী জানিয়েছেন, ৫০ জন সেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট ডিউটিতে রয়েছেন। পুরো এলাকায় ৩০০ টিরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং চারটি ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হচ্ছে৷ পুরো এলাকার শান্তি নিশ্চিত করতে কুমার এবং ছেত্রী ধর্মীয় প্রধান এবং স্থানীয় কমিটির সঙ্গে দেখা করেছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আটলা এবং আশেপাশের এলাকা থেকে পাথর, ইট এবং নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নিয়েছে। জেলা প্রশাসন মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে জুমার নামাজের আগে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করার আবেদন জানিয়েছে। ছেত্রী বলেছেন, এই স্বেচ্ছাসেবকরা সকল নমাজ পড়তে আসা লোকের দিকে নজর রাখবে যাতে কোনো ঝামেলা না হয়। যদি কোনও অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়, এই স্বেচ্ছাসেবকরা অবিলম্বে প্রশাসন এবং পুলিশ আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট করবেন।