ডিসেম্বর থেকে টাকা বাকি
সাধারণভাবে ১০০ দিনের কাজে ১৫ দিনের মধ্যে মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু এই রাজ্যের ক্ষেত্রে গত ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের টাকা বকেয়া রয়েছে। সেই বকেয়ার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার মতো। গতমাসেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। টাকা না মেটানো হলে প্রয়োজনে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
দুপুর ২ টোয় সময় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
এদিন দুপুর দুটোয় আলোচনার জন্য সময় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ডিসেম্বর থেকে এই প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের কাছে টাকার দাবিতে বিভিন্ন জেলায় ব্লক ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তৃণমূলের মন্ত্রীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দলের নেতা ও কর্মীদের এব্যাপারে রাস্তায় নামার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বৈঠকে থাকবেন ১০ জন সাংসদ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর সঙ্গে এদিনের বৈঠকে থাকবেন তৃণমূলের ১০ জন সাংসদ। নেতৃত্বে দেবেন লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে লোকসভার যেসব সদস্য থাকবেন, তাঁরা হলেন, সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাজদা আহমেদ, প্রতিমা মণ্ডল। বৈঠকে রাজ্যসভার যে সাংসদরা থাকবেন, তাঁরা হলেন. সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন, জহর সরকার এবং লুইজিনহো ফেলেইরো।
বিকল্পের ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের
১০০ দিনের কাজের কর্মীরা টাকা না পাওয়ায় রাজ্য সরকারের তরফে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তদের অন্য প্রকল্পে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জব কার্ড থাকা কর্মীরা যাতে অন্য প্রকল্পে কাজের সুযোগ পান, তার জন্য নির্দেশনামা দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙঅগে দেখা করার পরে আদৌ কতটা সুরাহা হয় এখন সেটাই দেখার। কেননা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই হোন কিংবা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করে বলেছেন, গত প্রায় ৩ বছর ধরে কেন্দ্রের পাঠানো টাকার
হিসেব দেয়ই রাজ্য।