প্রচলিত ধারণা: অগ্নিবীরদের ভবিষ্যত অসুরক্ষিত
প্রকৃত সত্য
১) যারা উদ্যোক্তা হতে ইচ্ছুক তারা একটি আর্থিক প্যাকেজ এবং একটি ব্যাঙ্ক ঋণ প্রকল্প পাবেন
২) যারা আরও পড়তে ইচ্ছুক তাদের দ্বাদশ শ্রেনীর সমমানের শংসাপত্র এবং আরও পড়াশোনার জন্য একটি ব্রিজিং কোর্স দেওয়া হবে
৩) যারা চাকরি পেতে ইচ্ছুক তাদের সিএপিএফ এবং রাজ্য পুলিশে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৪) অন্যান্য সেক্টরেও তাদের জন্য বেশ কিছু পথ খোলা হচ্ছে
প্রচলিত ধারণা: অগ্নিপথের ফলে তরুণদের সুযোগ কমবে
প্রকৃত সত্য
তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে চাকরি করার সুযোগ বাড়বে। আগামী বছরগুলোতে অগ্নিবীরদের নিয়োগ তিনগুণ করা হবে।
প্রচলিত ধারণা: রেজিমেন্টাল বন্ডিং–এ প্রভাব পড়বে
রেজিমেন্টাল সিস্টেমে কোনও পরিবর্তন করা হচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে, এটি আরও জোরদার করা হবে কারণ সেরা অগ্নিবীরদের নির্বাচন করা হবে, যা ইউনিটের সমন্বয়কে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
প্রচলিত ধারণা: এতে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে
প্রকৃত সত্য
১) এই ধরনের স্বল্প-মেয়াদী তালিকাভুক্তি সিস্টেমগুলি বেশিরভাগ দেশে বিদ্যমান এবং তাই ইতিমধ্যেই পরীক্ষা করা হয়েছে এবং একটি প্রাণোচ্ছল এবং চটপটে সেনাবাহিনীর জন্য সেরা অনুশীলন হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।
২) প্রথম বছরে যে অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে তা সশস্ত্র বাহিনীর মাত্র ৩ শতাংশ হবে।
৩) উপরন্তু, চার বছর পর সেনাবাহিনীতে পুনরায় যোগদানের আগে অগ্নিবীরদের কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে। তাই, সেনাবাহিনী তাদের পরীক্ষা করবে এবং সুপারভাইজরি পদের জন্য চেষ্টা করবে।
প্রচলিত ধারণা: ২১ বছর বয়সীরা অপরিপক্ক এবং সেনাবাহিনীর জন্য অবিশ্বাস্য
প্রকৃত সত্য
বিশ্বের বেশিরভাগ সেনাবাহিনী তাদের যুবকদের উপর নির্ভর করে।
একটা সময়ে অভিজ্ঞদের চেয়ে বেশি তরুণ থাকবে সেনাবাহিনীতে। বর্তমান স্কিমটি শুধুমাত্র ৫০%-৫০% তরুণ এবং অভিজ্ঞ সুপারভাইজরি র্যাঙ্কের সঠিক মিশ্রণ নিয়ে আসবে।
প্রচলিত ধারণা: অগ্নিবীররা সমাজের জন্য বিপদ হবে এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগ দেবে
প্রকৃত তথ্য
১) এটা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর নীতি ও মূল্যবোধের অপমান।
২) যে তরুণরা চার বছর ধরে ইউনিফর্ম পরেছে তারা সারা জীবন দেশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
৩) বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনী থেকে হাজার হাজার লোক দক্ষতা ইত্যাদি নিয়ে অবসর গ্রহণ করলেও তাদের দেশবিরোধী শক্তিতে যোগদানের কোনও ঘটনা ঘটেনি।