বুধবার মনোনয়ন জমা শুরু হয়েছে
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের জন্য ভোটারদের কাছে আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে বুধবার যাঁরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে
রয়েছেন দিল্লি, মহারাষ্ট্র, বিহার, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রগেশের প্রার্থীরা।
বিহারে মনোনয়ন জমা দিয়েছে লালুপ্রসাদ যাদব
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই বিহার থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব। তবে এই লালুপ্রসাদ যাদব আর বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী কিংবা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব একই ব্যক্তি নন। তিনি বিহারের সারানের বাসিন্দা।
একজন প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল
প্রথম দিনেই একজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। কেননা সেই প্রার্থী যেখানকার ভোটার, সেখানকার ভোটার তালিকায় যে নাম রয়েছে, সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেননি।
মনোনয়ন জমার ক্ষেত্রে যা যা জরুরি
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে একজন প্রার্থীকে নির্দিষ্ট ফর্মাটে মনোনয়ন দাখিল করতে হয়। কমপক্ষে ৫০ জন নির্বাচক অর্থাৎ লোকসভা, রাজ্যসভা কিংবা বিধানসভা সদস্যকে প্রস্তাবক হিসেবে থাকতে হয়। এছাড়াও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে গেলে ১৫ টাকা জমানত হিসেবে জমা দিতে হয়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লালুপ্রসাদ এবং সারানের পরিচিতি
লালুপ্রসাদ যাদব এবারই প্রথম নয়, আগেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ২০১৭ সালে তিনি বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রস্তাবক না থাকায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়. তবে এবার তিনি অনেকটাই প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন আগেই। বিহারের সারানের মারহাউড়া বিধানসভার রহিমপুরের বাসিন্দা ৪২ বছরের লালুপ্রসাদ যাদব আদতে কৃষিজীবী। তিনিও সামাজিক কাজকর্ম করেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদের ৯ সন্তান থাকলেও এই লালুপ্রসাদের সন্তান সংখ্যা ৭। তাঁর বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী বারড়ি দেবী একটা সময়ে সারান থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে মোদী হাওয়ায় তিনি রাজীবপ্রতাপ রুডির কাছে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হেরে যান।