ইউক্রেনে সামরিক অভিয়ান শুরু হওয়ার পর থেকেই মস্কোর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে চিনকে। প্রথম থেকেই রাশিয়াকে কূটনৈতিক সমর্থন জুগিয়ে এসেছে বেজিং। এবার আরও একবার চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং জানিয়ে দিলেন, রাশিয়ার প্রতি তাঁদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। যা ঘিরে নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘ ইউরোপের আকাশে।
চিনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশি রিপোর্ট অনুযায়ী, রুশ প্রেডিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছিলেন জিনপিং। আর তখনই সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, বুধবার যখন পুতিনের সঙ্গে জি-র কথা হয়, তখন তিনি দাবি করেছেন ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে সব দলেরই একটা সিদ্ধান্তে আশা উচিত। ক্রেমলিনের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে জি-র সঙ্গে কথা বলেছেন পুতিন। অন্যদিকে, ন্যাটো-র দাবি, চিন কখনই মস্কোর সমালোচনা করেনি।
ইউক্রেনে অভিযান চালানোর জন্য নিন্দাও প্রকাশ করেনি। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তার কয়েক সপ্তাহ আগে মুখোমুখি হয়েছিলেন জি ও পুতিন। সেখানে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয় ও দুই দেশের সম্পর্কের যে কোনও সীমা হয় না, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছিল ওই বৈঠকে।
সেই সময় জি অভিযানের ব্যাপারে কিছু জানতেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে তাইওয়ান নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যে অংশ চিন নিজেদের বলে দাবি করে থাকে।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একাধিক ক্ষেত্রে রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞার শিকার হতে হয়েছে। বুধবার যে বৈঠক হয়েছে সেখানে পশ্চিমি দেশগুলোকে যাতে কড়া জবাব দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্র প্রধান। শিল্প, অর্থনীতি, পরিবহন-সহ একাধিক বিষয়ে একে অপরকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে দুবার জিনপিং-এর সঙ্গে কথা বললেন পুতিন। আগেও দেখা গিয়েছে, চিন কখনই রাশিয়ার সমালোচনা করেনি। এমনকি গোটা বিশ্ব যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে সেই সময়েও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে স্পিকটি নট ছিল বেজিং। এমনকি রাষ্ট্রসংঘের ভোটাভুটিতেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দানে বিরত দেখেছে কমিউনিস্ট এই দেশ।
তবে প্রায় কয়েকমাস ধরে চলা রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই ফের একবার চিন এবং রাশিয়ার ফোনালাপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এদিন দুই দেশের সম্পর্কে ঠিক কতটা এগিয়েছে, সে বিষয়েও এ দিন দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় রাশিয়া এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে।