ঘটনার সূত্রপাত কোথায় ?
ঘটনা এলাহাবাদ হাইকোর্টের। উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলা থেকে একটি গার্হস্থ্য হিংসার মামলা চলছিল সেখানে। ঘটনায় অভিযুক্তের গ্রেপ্তারি কার্যকর করতে অস্বীকার করেছে আদালত
কী লেখেন মহিলা ?
অভিযোগকারী মহিলা তার স্বামী, শ্বশুর এবং দেওর বিরুদ্ধে তার উপর যৌন হয়রানি এবং যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ করেন। এফআইআর-এ শাশুড়ির নামও দিয়েছেন তিনি। অভিযোগকারী পিলখুয়া থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন, যেখানে তিনি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ, ৩০৭(খুনের চেষ্টা), ১২০-বি (অপরাধী ষড়যন্ত্র), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) সহ একাধিক ধারার অধীনে তাদের এফআইআর দায়ের করেন।
অভিযোগ কী ছিল ?
মহিলা উল্লেখ করেন যে তার শ্বশুরের হাতে তিনি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। তার দেওর তাকে "শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার" চেষ্টা করে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে তার শাশুড়ি এবং দেওর তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিয়েছিল। তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক ও বলপূর্বক যৌনতার অভিযোগও তোলেন। এও লেখা হয় অতিরিক্ত যৌতুকের জন্য ক্রমাগত দাবি করা হয়েছিল, এবং তা না দেওয়া হলে, তাকে মারধর এবং অপমান করা হয়েছে।
অবাক করা মন্তব্য ?
এই মামলায় বিচারপতি রাহুল চতুর্বেদী বলেন: "এফআইআর-এ আপনার উপর বা আপনার বিরুদ্ধে কি অত্যাচার হয়েছে তা বলবেন কিন্তু বিশাল বিবরণ করে সবকিছু লেখার প্রয়োজন নেই। এটি পর্গ্রাণফিক সাহিত্য নয়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করার পর, নিম্ন আদালতে বিচার শুরু হয়, যেখানে অভিযুক্তরা এই মামলা নিষ্পত্তির আবেদন করেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট অন্যদের মুক্তির আবেদন গ্রহণ করে নেয় তবে অভিযোগকারীর স্বামীর আবেদন খারিজ করে দেয় এবং তাকে নিম্ন আদালতে বিচারের জন্য হাজির হতে বলে।
মামলার তদন্তকালে দায়রা আদালতে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়। এরপর রিভিউয়ের জন্য আবেদনকারীরা হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, এলাহাবাদ হাইকোর্ট আরও বলেছে যে যৌতুক-সম্পর্কিত অভিযোগের সঙ্গে যখন দাম্পত্য বিরোধের বিষয় উঠে আসে তখন অনেকক্ষেত্রেই বাড়িয়ে চড়িয়ে বলা হয়। আদালত নির্দেশ দেয় যে এফআইআর দায়েরের পরে দুই মাসের "কুলিং পিরিয়ড" এর মধ্যে কোনও গ্রেপ্তার করা উচিত নয়।