শুক্রবার চতুর্থবারের জন্য ইডি রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা ইডিকে চিঠি লিখে শুক্রবারের পরিবর্তে সোমবার উপস্থিত থাকার অনুমতি চাইলেন। কারণ হিসেবে তিনি সোনিয়া গান্ধীর শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেন বলে জানা গিয়েছে। আর এরপরেই রাহুল গান্ধীর আবেদন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মেনে নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রাহুল গান্ধীর আবেদন মেনে তাঁকে আগামী সোমবারই আসতে বলা হয়েছে। এই মর্মে নতুন করে ইডির তরফে নোটিশও পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, কোভিড পরবর্তী সমস্যার কারণে বর্তমানে সোনিয়া গান্ধী দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি। সে বিষয়টিকে সামনে রেখেই সময় চেয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা।
Enforcement Directorate today issued fresh summons to Congress leader Rahul Gandhi to join the investigation in the National Herald case on June 20, granting his request to the agency considering the illness of his mother and interim Congress president Sonia Gandhi: ED sources
— ANI (@ANI) June 16, 2022
বুধবার তৃতীয় দিন রাহুল গান্ধীকে আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির আধিকারিকরা। এরপরেই ইডির তরফে জানানো হয়, ১৭ জুন তাঁকে চতুর্থবারের জন্য ইডির দফতরে হাজিরা দিতে হবে। বৃহস্পতিবার তিনি চিঠি লিখে ১৭ জুনের পরিবর্তে ২০ জুন হাজিরা দেওয়ার অনুমতি চাইলেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, তাঁর মা তথা কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেই কারণেই তিনি তিন দিনের সময় চেয়ে নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২ জুন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী করোনায় আক্রান্ত হন। কোভিড পরবর্তী সমস্যার কারণে তিনি রবিবার থেকে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র রনদীপ সুরজওয়ালা জানান, বর্তমানে সোনিয়া গান্ধির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তাঁকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি সোনিয়া গান্ধীকেও ইডি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে। ৮ জুন ইডি সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠান। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি। পরবর্তীতে ইডি ২৩ জুন সোনিয়ার গান্ধীকে তলব করেছে।
অন্যদিকে, সোমবার থেকে ইডি ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি মামলায় রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পর পর তিন দিন তাঁকে ইডি তলব করে। রাহুল গান্ধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের বিরোধিতা করে কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা কেরল, কর্ণাটক, পঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, অসম, জম্মুতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
দিল্লিতে বুধবার পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে পুলিশ কংগ্রেসের প্রায় ৮০০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। তার মধ্যে কংগ্রেসের অনেক শীর্ষ স্থানীয় প্রবীণ নেতা রয়েছেন। বুধবার দিল্লি পুলিশ দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটকে আটক করে।
জুলাইয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোন জায়গায় রয়েছে বিজেপি?
কংগ্রেসের তরফে বুধবার অভিযোগ করা হয়েছে, দিল্লিতে তাদের সদর দফতরে প্রবেশ করে পুলিশ নেতা-কর্মীদের আটক করেছে। যদিও কংগ্রেসের সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ। জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। সেখানে বিক্ষোভ করার জন্য কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য কেন্দ্র ইডিকে ব্যবহার করছে।