সুযোগ দেবে উত্তর প্রদেশ সরকার
এগিন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আশ্বস্ত করে বলেছেন, সেনাবাহিনীতে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বল্প মেয়াদি নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরে চার বছরের চাকরি শেষে যুবকদের রাজ্য পুলিশে এবং সহযোগী বাহিনীতে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। টুইটে যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন,অগ্নিপথ প্রকল্প যুবকদের দেশ ও সমাজের সেবার জন্য তৈরি করে দেবে। তাদের জন্য গর্বিত ভবিষ্যতের সুযোগ দেবে বলেও মন্তব্য করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছিলেন অমিত শাহও
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আধাসামরিক বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে অগ্নিবীরদের নিয়োগে অগ্রাধিকারের কথা বলেছিলেন। এর একদিনের মধ্যে উত্তর প্রদেষে বিজেপির পোস্টার বয় যোগী আদিত্যনাথও সেই একই ধরনের আশ্বাস দিলেন।
টুইটে অমিত শাহ যুবকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত বলে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
অগ্নিপথ প্রকল্প কী?
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতিরক্ষায় নিয়োগ সংক্রান্ত সংস্কারের কথা জানানো হয়। বলা হয় এবার থেকে সেনাবাহিনীতে ৪ বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে। চার বছর পরে স্ক্রিনিং-এ ২৫ শতাংশকে বেছে নিয়ে ১৫ বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে। মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকারবেতন ছাড়াও ১১-১২ লক্ষ টাকার প্যাকেজও দেওয়া হবে। এছাড়াও দক্ষতার শংসাপত্র দেওয়া হবে। দেওয়া হবে ব্যাঙ্ক ঋণের সুবিধা। তবে ৪ বছর কাজ করা কেউই নিজেদেরকে প্রাক্তন সেনাকর্মী বলতে পারবেন না। থাকবে না অবসরকালীন কোনও সুবিধা।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ, কংগ্রেসের কটাক্ষ
অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা হতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন, সেনাবাহিনীতে চাকরি প্রত্যাশীরা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, চার বছরের জন্য চাকরি হলে পরে অন্য চাকরির জন্য চেষ্টা করতে হবে। প্রতিযোগিতায় তাঁরা পিছিয়ে পড়বেন বলেও অভিযোগ করেন
চাকরি প্রার্থীরা। অগ্নিপথ প্রকল্পের সমালোচনা করেন প্রাক্তন সমরকর্মীরাও। প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের একটা অংশ ৪ বছরের জায়গায় সময়সীমা ৭ বছরের জন্য করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি ২৫ শতাংশ নয় অন্তত ৫০ শতাংশকে পুনর্বহালের কথাও তাঁরা বলেছেন।
অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফ থেকে অগ্নিপথ প্রকল্পের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। রাহুল গান্ধী টুইটে বলেছেন, এই প্রকল্প অনাকাঙ্খিতভাবে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যকারিতা হ্রাস করবে।