প্রোটিয়ারা পরিসংখ্যানে এগিয়ে
হাতের চোট সারিয়ে কাল দক্ষিণ আফ্রিকা দলে কামব্যাক করতে পারেন কুইন্টন ডি কক। ইতিমধ্যেই সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন এইডেন মার্করাম। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে ছিলেন। বাকি দুটি ম্যাচেও খেলতে পারবেন না। ইংল্যান্ড সফরের আগে কককে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছে না দক্ষিণ আফ্রিকা, এমনটা জানা যাচ্ছিল। কিন্তু সিরিজ জেতার লক্ষ্যে কাল কক রিজা হেন্ডরিক্সের জায়গায় আসতে পারেন। তাছাড়া রাজকোটে গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আশ্বস্ত রাখবে এখানকার পরিসংখ্যান। এই প্রথম ভারত রাজকোটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কোনও টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলবে। তবে এখানে সাদা বলের ক্রিকেটে প্রোটিয়ারা ভারতের কাছে কখনও হারেনি। দুটি একদিনের আন্তর্জাতিকে দুটিতেই জিতেছে। প্রথমবার যখন দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতকে রাজকোটে হারায় সেটি অবশ্য এখনকার সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে হয়নি। টাইটান কাপের সেই ম্যাচটি হয়েছিল মিউনিসিপ্যাল স্টেডিয়ামে। অ্যালান ডোনাল্ড তিনটি এবং লান্স ক্লুজনার ও নিকি বোয়ে দুটি করে উইকেট নিয়ে সচিন তেন্ডুলকরের নেতৃত্বাধীন ভারতকে বেঁধে ফেলেন ১৮৫ রানে। তিনে নেমে সর্বাধিক ৫৩ করেছিলেন জাভাগল শ্রীনাথ। এরপর ৪৮.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হ্যান্সি ক্রোনিয়ের নেতৃত্বাধীন প্রোটিয়ারা। জন্টি রোডস করেন ৫৪ রান।
দুটি সাক্ষাতেই জয়
এরপর ২০১৫ সালে তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতকে হারিয়ে রাজকোটেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবি ডি ভিলিয়ার্সের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারতকে হারায় ১৮ রানে। প্রথমে ব্যাট করে কুইন্টন ডি ককের ১০৩ ও ফাফ দু প্লেসির ৬০ রানের দৌলতে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে সাত উইকেটে ২৭০। জবাবে ভারত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫২ রানের বেশি এগোতে পারেনি। বিরাট কোহলি ৬৭, রোহিত শর্মা ৬৫ রান করেছিলেন। মর্নি মরকেল নেন চার উইকেট।
একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারত
রাজকোটের যে মাঠে কাল খেলা হবে সেখানে ভারত তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলে জিতেছে মাত্র একটিতে। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল ৯ রানে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ১৮ রানে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শেষবার এখানে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলে ভারত। সেই ম্যাচে ভারত ৬ উইকেটে ৩৪০ রানে জিতেছিল ৩৬ রানে। শিখর ধাওয়ান করেছিলেন ৯৬, বিরাট কোহলি ৭৮ এবং উইকেটকিপার হিসেবে খেলে লোকেশ রাহুল করেন ৫২ বলে ৮০। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৪৯.১ ওভারে ৩০৪ রানে অল আউট হয়ে যায়। স্টিভ স্মিথ করেন ৯৮। মহম্মদ শামি তিনটি, নভদীপ সাইনি, রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদব নেন দুটি করে উইকেট।
টি ২০ আন্তর্জাতিকের পরিসংখ্যান
ভারত এই স্টেডিয়ামে তিনটি টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলে জিতেছে দুটিতে। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ৬ উইকেটে। তবে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪০ রানে পরাস্ত হয়। ভারত এখানে শেষ টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলেছে ২০১৯ সালে। সেবার বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ৮ উইকেটে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৪৩ বলে ৮৫ রান করেন।
পিচ ও আবহাওয়া
রাজকোটে পিচ ব্যাটিং সহায়কই হবে। ২০০ বা তার কাছাকাছি রান উঠতে পারে। গরমের সঙ্গে আর্দ্রতার চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে ক্রিকেটারদের। বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। তবে সামান্য হলেও তাতে ম্যাচে প্রভাব পড়বে না। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে।