শেয়ার বাজারে পতন
লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীহীন দশা দালাল স্ট্রিটের। সকাল থেকেই একাধিক সংস্থার শেয়ারের দাম পড়তে শুরু করেছে। পড়তে পড়কে একেবারে ১০০০ পয়েন্ট পড়ে গিয়েছেছে সেনসেক্স। আইটি কোম্পানি থেকে শুরু করে একাধিক বড় বড় ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম তলানিতে এসে ঠেকেছে। নিফটির অবস্থাও সঙ্গীন। সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি পড়েেছ নিফটি। ১৫,৪০০ মার্ক পড়েছে নিফটি। সকাল থেকেই মাথায় হাত দালাল স্ট্রটের কারবারিদের। করোনা সময় থেকেই দালাল স্ট্রিটে বড় একটা খুশির খবর শোনা যাচ্ছে না। প্রায়ই মন্দার বাজার চলছে। ২ বছর ধরে তেমন উঠে দাঁড়াতে পারেনি শেয়ার বাজার।
কেন সেনসেক্সে পতন
লক্ষ্মীবারে শেয়ার বাজারে এই পতনের নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের রেপোরেট বৃদ্ধি। এক ধাক্কায় ৭৫ বেসিস পয়েন্ট রেপোরেট বাড়িয়েছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ। গত ৩০ বছরে রেকর্ড বৃদ্ধি বলেই দাবি করেছেন অর্থনীতিবিদরা। ভারতের মতই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেউ রেপোরেট বাড়ানোর পথে হেঁটেছেন জো বাইডেন সরকার। কয়েকদিন আগে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কও রেপোরেট বাড়িয়েছে। তার অন্যতম কারণ ছিল মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু তাতে খুব একটা যে ফল হয়েছে তা নয়। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের এই সিদ্ধান্তের জেরে প্রভার পড়েছে বিশ্বের অর্থনীতিতে। ভারতের শেয়ার বাজারের পতনই তার উদাহরণ।
কোন পথে হাঁটবেন বিনিয়োগকারীরা
আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অবস্থা যেরকম তাতে খুব বেশি অর্থ বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাতে পারছেন না শিল্পপতিরা। তাঁরাও মেপে পা ফেলার পথেই এগোচ্ছেন। ভবিষ্যত সুরক্ষিত রেখেই বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তাঁরা। সেকারণেই দালাল স্ট্রিটে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অভাব দেখা গিয়েছে। করোনা মহামারীর সময় থেকেই বিনিয়োগকারীরা বেশ সতর্ক হয়েই কাজ করেছেন। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মেপে পা ফেলছেন। তাঁরা দীর্ঘমেয়াদি লাভের দিকে তাকিয়েই বিনিয়োগ করছেন।
দালাল স্ট্রিটে একের পর এক ধাক্কা
করোনা সংক্রমণের বড় ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব পড়ে শেয়ার বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় শেয়ার বাজারে বিপুল পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। তারপরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পর পর ২ বার রেপো রেট বাড়িয়ে দিয়েছে। তারও একটা বড় ধাক্কা শেয়ার বাজারে এসে পড়েছে। লাগাতার শেয়ার বাজারে এই পতনে কয়েক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি শিকার করতে হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।