রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতায় অভিযুক্তদের বাড়ি ভেঙে ফেলার বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, 'বাড়ি ভাঙার বিষয়গুলি আইন অনুসারে হতে হবে, বাড়িভাঙার বিষয়টি প্রতিশোধমূলক হতে পারে না।' সুপ্রিম কোর্ট পরের মঙ্গলবার আবার মামলা শুনানি করার আগে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি প্রয়াগরাজ এবং কানপুরের নাগরিক কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছো, বসবকিছুই সুষ্ঠু ভাবে হওয়া উচিত। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র আইন অনুযায়ী কাজ করবে। একই সঙ্গে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কিন্তু আদালত অপরাধীদের বাড়িতে বুলডোজার চালানোর উপর স্থগিতাধেশ দেয়নি৷ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'আমরা ভাঙা স্থগিত রাখতে পারি না। আমরা বলতে পারি আইন অনুযায়ী চলুন।' উত্তরপ্রদেশ সরকারের বুলডোজার চালানো নিয়ে জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দ নামে একটি সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল, বাড়িঘর ভেঙে ফেলার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছিল সংগঠনটি৷
পিটিশনে আরও বলা হয়েছিল যে আদালতের উচিত উত্তরপ্রদেশ সরকারকে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অন্য কোনও বাড়ি ধ্বংস না করার নির্দেশ দেওয়া উচিৎ৷ সম্প্রতি দুই বিজেপি নেতার দ্বারা নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে হয় যোগরাজ্যাে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে যোগী সরকার। কানপুর, প্রয়াগরাজ এবং সাহারানপুরে হিংসাত্মক বিক্ষোভে অভিযুক্তদের বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এবার কি পুরোপুরি রাজনীতি ছাড়ছেন রূপা! ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা
কোর্টে আবেদনকারীরা বলেছেন, এই ভাঙচুরগুলি ছিল মর্মান্তিক এবং আতঙ্কজনক। পিটিশনকারীরা সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, যে বাড়িগুলি ভেঙে দেওয়ার পরে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল৷ বাড়ি ভাঙার আগেই পর্যাপ্ত নোটিশ আবশ্যক। যা করা হচ্ছে তা অসাংবিধানিক এবং জঘন্য। এটি একটি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে। আবেদনকারীদের আইনজীবী সিইউ সিং বলেছেন ইউপির আইন অনুসারে যে কোনও ধ্বংসের আগে কমপক্ষে ১৫ থেকে ৪০ দিনের নোটিশ দেওয়া আবশ্যক। এতে উত্তরদাতারা (ইউপি সরকার) তাদের আপত্তির জন্য সময় পাবে। এর মধ্যে আমাদের উচিত তাদের (আক্রান্ত পক্ষের) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।