কী এই অগ্নিপথ প্রকল্প?
কেন্দ্র সরকারের নতুন অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা বেতনে ১৭.৫ থেকে ২১ বছরের বয়সীদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। মহিলারাও প্রকল্পের জন্য যোগ্য। অগ্নিবীরদের অবশ্যই সশস্ত্র বাহিনীতে তালিকাভুক্তির জন্য নির্ধারিত মেডিকেল যোগ্যতা শর্ত পূরণ করতে হবে যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অগ্নিপথের অধীনে নিয়োগ করা সৈন্যদের চার বছর পরে চাকরি থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, যদিও নতুন সিস্টেমে তাদের প্রায় ২৫ শতাংশকে স্ক্রীনিংয়ের অন্য রাউন্ডের পরে আবার চাকরিতে পুনর্বহাল করার বিধান থাকছে৷
চারবছর পর সেনবাহিনী থেকে কি করবেন অগ্নিবীররা?
যাদের চাকরি থেকে মুক্ত করা হবে তাদের শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মতো স্বীকৃত প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং ও ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ সহ বিভিন্ন পরিষেবার জন্য একটি অনলাইন কেন্দ্রীভূত সিস্টেমের মাধ্যমে তালিকাভুক্তি করা হবে। তালিকাভুক্তি 'অল ইন্ডিয়া অল ক্লাস' ভিত্তিতে হবে এবং অগ্নিবীরদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিভিন্ন বিভাগে তালিকাভুক্তির জন্য থাকবে। অগ্নিবীরদের তিনটি পরিষেবায় ঝুঁকি ভাতা সহ একটি আকর্ষণীয় কাস্টমাইজড মাসিক প্যাকেজ দেওয়া হবে। চার বছরের মেয়াদ পূর্ণ হলে, অগ্নিবীরদের এককালীন 'সেবা নিধি' প্যাকেজ দেওয়া হবে।
প্রার্থীরা কেন প্রতিবাদ করছেন?
তারা এই প্রকল্পের চার বছরের চাকরির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। বিক্ষোভকারী সেনা প্রত্যাশীরা বলেছেন যে চাকরিপ্রার্থী বা দেশ কেউই এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে না। 'অগ্নিপথ যোজনা'-এ যুবকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল চার বছর পর ৭৫ শতাংশ যুবককে বাইরে যেতে হবে, যা একবার সরকারি চাকরি পেয়ে যাওয়ার নিশ্চিত জীবন থেকে অনেকটাই অনিশ্চিত। একজন প্রার্থী বলেছেন যে একজন যুবক ১৭.৫ বছর বয়সে অগ্নিবীর হয়ে উঠবে তার কোনও পেশাদার ডিগ্রি বা বিশেষ যোগ্যতা সে সময় থাকবে না, তাই সে চারবছর কাজ করে সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরি নিতে বাধ্য হবে। তাদের প্রধান উদ্বেগ হল যে তারা চার বছরের সীমিত সময়ের মধ্যে ভাল পারফর্ম করতে সক্ষম না হলে এই সময়ের পরে, তারা আবার পেনশন এবং অন্যান্য অবসর সুবিধা ছাড়া বেকারে পরিনত হবে৷