উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে তাদেরই ঘরের মাঠে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল হাঙ্গেরি। উলভারহ্যাম্পটনের মোলিনাক্স স্টেডিয়ামে ৪-০ গোলে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করল হাঙ্গেরি। বল পজিশনের সিংহভাগ গ্যারেথ সাউথগেটের দলের দখলে থাকলেও যেই জন্য খেলা, সেই মূল কাজটা করতে ভুল করেনি পুসকাসের উত্তরসূরীরা।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে অ্যাডাম লাং-এর পাস থেকে রোনাল্ড সালাই প্রথম গোলটি করে হাঙ্গেরিকে এগিয়ে দেন ম্যাচে। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। এই একটি গোল ছাড়া খুব একটা আহামরি প্রথমার্ধে খেলেনি হাঙ্গেরি।
ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ২০ মিনিট হাঙ্গেরির রক্ষণভাগে হ্যারি কেনের দল মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করলেও গোল আসেনি, বরং ম্যাচের ৭০ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করে হাঙ্গেরির পক্ষে ব্যবধান দ্বিগুন করেন সালাই। এই গোলের দশ মিনিটের মধ্যে ৮০ মিনিটে তৃতীয় গোলটি পায় হাঙ্গেরি, সেটি করেন সল্ট ন্যাগি। তৃতীয় গোলটির পর ৮২ মিনিটে বিশ্রী ফাউল করে দু'টি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের একমাত্র ভাল খেলা জন স্টোনস। দ্বিতীয়ার্ধের অন্তিম লগ্নে ন্যাগির পাস থেকে হাঙ্গেরির চতুর্থ গোলটি করেন ড্যানিয়েল গাজডাগ।
নেশনস লিগের অপর খেলায় জার্মানির বিরুদ্ধে ৫-২ গোলে পরাজিত হয়েছে ইতালি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর ইতালির জাতীয় দলের শোচনীয় অবক্ষয় নিঃসন্দেহে চিন্তার কারণ। ফাইনালিসিমাতে ইতালি পরাস্ত হয় ৩-০ গোলে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে। নেশনস লিগে ৪ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে তারা।
সাত গোলের ম্যাচে জার্মানির হয়ে গোলের খাতা খোলেন জোসুয়া কিমিচ। ডেভিড রামের পাস থেকে গোলটি তিনি করেন। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে জার্মানিকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন ইকের গুণ্ডগান। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে থমাস মুলার করেন তৃতীয় গোলটি। ৬৮ এবং ৬৯ মিনিটে পর পর দু'টি গোল করেন টিমো ওয়ার্নার। এই দুই গোলের পাসই ওয়ার্নারকে বাড়ান সার্জি গ্যানাব্রি।
অন্য খেলায় ৩-২ ব্যবধানে ওয়েলসকে পরাজিত করেছে নেদারল্যান্ডস। নোয়া ল্যাং, কোডি গ্যাকপো, মেমফিস ডিপে গোল করেন নেদরল্যান্ডসের হয়ে। ওয়েলসের হয়ে গোল করেন ব্রেন্যান জনসন এবং গ্যারেথ বেল। মিচি বাতসুয়াসির একমাত্র গোলে বেলজিয়াম ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে পোল্যান্ডকে। ড্র হয়েছে ইউক্রেন বনাম আয়ারল্যান্ড ম্যাচ। আয়ারল্যান্ডকে প্রথমে এগিয়ে দেন নাথান কলিন্স। ইউক্রেনের হয়ে সমতা ফেরান আরতেম ডোভবিক।