স্টিকার লাগানোর ব্যবসা
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতা, মুখ্য সচেতক-সহ সাত বিজেপি বিধায়ককে সাসপন্ড করেছেন। সেই কারণে তাঁরা বিধানসভার বাইরে ধর্না দিচ্ছেন। এদিন সেখানেই শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাংলার বাড়ি বলে কিছু নেই। প্রকল্পটি হল কেন্দ্রের। নাম হল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ঢপের চপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ ব্যবসা কতদিন ধরে চলবে। তিনি স্টিকার লাগানোর ব্যবসা কতদিন চালাবেন পরশ্ন করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট করে দেন, আগে প্রধানমন্ত্রী আবাসযোজনা লিখতে হবে, তারপরেই কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যাবে। বিরোধী দলনেতা বলেন, আগে লিখতে চহবে জলজীবন মিশন। তারপর পুলক রায় টাকা পাবেন। রাজ্যে দেওয়া নাম জলস্বপ্ন-এ টাকা দেওয়া হবে না।
তিন বছর হিসেব দেয়নি রাজ্য সরকার
এদিন শুভেন্দু অধিকারী ফের একবার অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার তিন বছর ধরে কেন্দ্রে পাঠানো টাকার হিসেব দেয়নি। জেসিপি দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ফরেস্ট কর্পোরেশন একটা নারকেল গাছ কেনে ৪২ টাকা দিয়ে।
আর কিষাণ কল্যাণী ফার্ম আড়াশো টাকা করে ৩২ কোটি টাকার নারকেল গাছ সরবরাহ করেছে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে। এব্যাপারে ডিপার্টমেন্টাল এনকোয়ারি হচ্ছে। পরে অর্থ তছরুপের তদন্ত হবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাজ্য থেকে এনডিএ প্রার্থী বেশি ভোট পাবে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিরোধী প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৎপরতা দেখাচ্ছেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ওই বৈঠকের কোনও গুরুত্ব নেই বলেই, জগনমোহন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখর রাও এবং নবীন পট্টনায়েকের মতোনেতারা বৈঠকে যাচ্ছেন না। আর এবার এই রাজ্য থেকে এনডিএ প্রার্থী বেশি ভোড পাবেন বলেও দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, গতবার বিজেপির ৩ বিধায়ক থাকলেও এই রাজ্য থেকে রামনাথ কোবিন্দ ১৩ জনের ভোট পেয়েছিলেন। এবার বিজেপির বিধায়ক ৭০ জন। তার থেকেওবেশি জনের ভোট এনডিএ প্রার্থী পাবেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। গতবার ২ সাংসদ রাজ্য থেকে এনডিএ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন, এবার অন্তত ১৮ জনের ভোট ঝুলিতে আসবে। সংখ্যাটা ১৮-র বেশিও হতে পারে। যদিও এই মুহূর্তে সেই হিসেবে রাজ্য থেকে লোকসভায় বিজেপিরআসন সংখ্যা ১৬। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের গণনার দিন তিনি সবাইকে লাড্ডু খাওয়াবেন বলেও জানিয়েছেন।
দেশের নেত্রী হওয়ার বৃথা চেষ্টা
শুভেন্দু অধিকারী এদিন কটাক্ষ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১০ বছরে দেশের নেত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি মূলায়ম সিং যাদবের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু সামনের গেট দিয়ে তিনি ঢুকেছিলেন, আর পিছনের গেট দিয়ে মূলায়ম সিং যাদব বেরিয়ে দিয়েছিলেন, বলেছেন শুভেন্দু। এদিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিরোধী প্রার্থী ঠিক করতে যে চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন, তা বৃথাই যাবে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।