রঞ্জি ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে বাংলার বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশের ইনিংস শেষ হল ৩৪১ রানে। উইকেটরক্ষক হিমাংশু মন্ত্রীর অনবদ্য ব্যাটিং-এর কারণেই বাংলার সামনে প্রথম ইনিংসে বড় রান তুলতে পারল মধ্য প্রদেশ। ৩২৭ বলে ১৩৫ রান করেন মন্ত্রী। ঊনিশটি চার এবং একটি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন এই বাম হাতি ব্যাটসম্যান।
মন্ত্রী এক দিক থেকে মধ্য প্রদেশের ইনিংসকে ধরে রাখলেও অপর দিক থেকে বাংলার বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্স মধ্যপ্রদেশের খুব বড় রান তোলার পথে বাধা সৃষ্টি করে। সম্প্রতিকালে বাংলার সফলতম বোলার মুকেশ কুমার শিকার করেন চারটি উইকেট। মুকেশের শিকার যশ দুবে, রজত পাতিদার, গৌরব যাদবের মতো ব্যাটাররা, তাঁর বলেই প্যাভিলিয়নে রাস্তা শেষ পর্যন্ত দেখানো সম্ভব হয়েছে মন্ত্রীকে।
বাংলার অপর পেসার আশাক দ্বীপ সংগ্রহ করেছেন দুই উইকেট। ৮১ বলে ৬৩ রান করে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আভাস দেওয়া অক্ষত রঘুবংশী'কে ডাগ আউটে পাঠান আইপিএল-এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের এই পেসার। আকাশ দ্বীপের পরবর্তী শিকার সরংশ জৈন (১৭)। বাংলার তারকা অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ পেয়েছেন ৩ উইকেট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সিতে গত আইপিএল-এ দাপিয়ে বেড়ানো শাহবাজ পেয়েছেন মধ্য প্রদেশের অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তবের উইকেট। এ ছাড়া এই ম্যাচে তাঁর শিকার পুনীত দাটে (৩৩) এবং কুমার কার্তিকেয়া (৬)। প্রদীপ্ত প্রামানিক একটি উইকেট পেয়েছেন প্রথম ইনিংসে। ১৭ রানে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান শুভম শর্মাকে সাজ ঘরে ফেরার রাস্তা দেখান এই স্পিনার।
প্রথম সেমিফাইনালের দ্বিতীয় ইনিংসে কঠি পরীক্ষার সামনে বাংলার ব্যাটিং লাইন। কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ইতিহাস তৈরি করে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করা বাংলার ব্যাটসম্যানদের কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য তৈরি কুমারা কার্তিয়কেয়া-অনুভব আগরওয়ালরা।