জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাতে বিজেপি-জেডিইউ!
যাদের মাত্র দুটি সন্তান রয়েছে তাদের ২৫ কেজি বিনামূল্যের রেশন এবং আয়ুষ্মান স্বাস্থ্য কার্ডের জন্য সওয়াল করেছেন বিজেপি নেতা জয়সওয়াল। তাঁর আরও দাবি মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার কেন্দ্রের পরিকল্পনাকে সরাসরি বিরোধিতা করছেন। কিছুদিন আগেই নীতীশ কুমার বলেছিলেন, কেবল শিক্ষা এবং সচেতনতা জনসংখ্যাকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। এদিন নীতিশের দাবির পুনরাবৃত্তি করে জেডিইউ নেতা কুমার বলেন, বিজেপিকে প্রথমে উত্তর দিতে হবে কেন দল-নেতৃত্বাধীন এনডিএ দুই-সন্তানের আদর্শ প্রচারকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
বিজেপি নেতাকে পাল্টা দিলেন জেডিইউ নেতা কুমার!
কুমার বলেন, অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার একটি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন করেছিল যা সেই সমস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেছিল যাদের দুটির বেশি সন্তান নেই। কিন্তু এনডিএ সরকার এই ধারণাটি বাতিল করে দিয়েছে এবং জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে৷' কুমার আরও বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মুসলমানদের দোষারোপ করা বিজেপিরও ভুল কারণ মুসলিম ও হিন্দু প্রজনন হারের মধ্যে পার্থক্য ১৯৯২ সালে ১.১০ থেকে সর্বশেষ স্বাস্থ্য সমীক্ষায় ০.৩৬ এ নেমে এসেছে। জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুসারে ২০১৯-২১ সালে বিহারের প্রজনন হার ২.৯৮ ছিল। ২০১৫-১৬ সালে যা ছিল ৩.৪১। কিন্তু এটা ঠিক যে ২০১৯-২১ সালে, নাগাল্যান্ডের পরে বিহারে প্রজনন হার দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। জাতীয় গড় ০.২০ এর বিপরীতে ০.৪৩ এ প্রজনন হার কমেছে বিহারে৷
বিহারের জনঘনত্ব কেরলের চেয়ে কম!
জেডি (ইউ) এমএলসিও জয়সওয়ালকে পাল্টা জবাব দেন৷ কিছুদিন আগে জয়সওয়াল রাজ্যের উচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্বকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ন্যাহ্য রূপ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। এর বিরোধিতা করে কুমার বলেন, রাজ্যের পশ্চাৎপদতার জন্য উচ্চ জনঘনত্বকে দায়ী করা ভুল। কেরলেরও বিহারের চেয়ে বেশি জনঘনত্ব রয়েছে এবং তারা তাদের জন্ম নিয়ন্ত্রনের হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে৷