ডিমগুলিকে একটির মধ্যে একটি রক্ষিত ছিল
গবেষকরা আরও জানান, ডিমগুলি ডাইনোসর ফসিল ন্যাশনাল পার্কে আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং টাইটানোসরের একটি প্রজাতির অন্তর্গত ওই ডিমগুলি। সৌরোপড ডাইনোসরের ডিম হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। ডিমগুলিকে একটির মধ্যে একটি পাওয়া গেছে। এই অবস্থাকে গবেষকরা ডিম্বাণু-ইন-ওভো বা বহু-খোলসযুক্ত ডিম হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
ডাইনোসরের ক্রমানুসারে ডিম পাড়ার বৈশিষ্ট্য
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আবিষ্কারের এই রিপোর্ট সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, "টাইটানোসরাস ডাইনোসরের বাসা থেকে ডিম্বাণু-ইন-ওভো ডিমের আবিষ্কার পরামর্শ দেয় যে, তাদের ডিম্বাণুর আকার ও বৈশিষ্ট্য পাখির মতোই ছিল। সৌরোপড ডাইনোসরের ক্রমানুসারে ডিম পাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গবেষকরা গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন।
২০০৭ সালে ডাইনোসরের বিচরণের প্রথম প্রমাণ
মধ্যপ্রদেশের ধর অঞ্চলটিতে ২০০৭ সালে টাইটানোসর প্রজাতির ডাইনোসরের বিচরণের প্রথম প্রমাণ আবিষ্কৃত হয়েছিল। সেই থেকে এলাকায় সংরক্ষণের কাজ চলছে। গবেষকরা বলেছেন, নতুন আবিষ্কার ইঙ্গিত করে যে ডিম্বাণু-ইন-ওভো প্যাথলজি পাখিদের জন্য অনন্য নয় এবং সরোপোডগুলি অন্যান্য আর্কোসরের মতো প্রজনন করে। বিজ্ঞানীদের দল তাদের খননের সময় জাতীয় উদ্যানের কাছে টাইটানোসর সরোপোডের ৫২টি বাসা খুঁজে পেয়েছে।
পাখির মতো বৈশিষ্ট্য ডাইনোসরের ওই প্রজাতির
জীবাশ্মবিদরা বলেছেন, পাখির মতো বৈশিষ্ট্য ডাইনোসরের ওই প্রজাতির। জীবাশ্ম রেকর্ডে বাসা নির্মাণের আকার এবং পিতামাতার যত্নের প্রমাণ বিশেষ করে থেরোপডগুলিতে পরিলক্ষিত হয়েছে। অন্যান্য ডাইনোসর, যেমন- হ্যাড্রোসর এবং সরোপডের বাসা বাটি আকৃতির হয়। থাবা বসানোর মতো সেই বাসা।
চুনযুক্ত বেলেপাথরের মধ্যে ডিমগুলি ছিল
ডিমগুলি নিম্ন নর্মদা উপত্যকায় পাওয়া গিয়েছে। বালুকাময় চুনাপাথর বা চুনযুক্ত বেলেপাথরের মধ্যে ডিমগুলি ছিল। ইতিমধ্যে, মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার বাগ-কুক্ষি এলাকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা দৃঢ় করা হয়েছে। গবেষকরা তাদের পরবর্তী কাজ যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে পারে, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রের কাজ চলাকালীন ১০৮টি টাইটানোসরের বাসা শনাক্ত করা হয়েছিল এলাকায়।
আরও কিছু পাওয়ার আশায় গবেষকরা
ওই বাসাগুলিতে অক্ষত ছিল থাবা। সেই বাসায় বিচ্ছিন্ন ডিম এবং বেশ কয়েকটি ডিমের খোসাও ছিল। এ থেকে গবেষকরা অনুমান করছেন, ওই বাসাগুলিতে সুপ্রাচীন কালে ডাইনোসরের বাস ছিল। সেখানে তাঁরা প্রজনন ঘটিয়েছে। সেই ডিম আবিষ্কারের পর আরও কিছু পাওয়ার আশা করছেন গবেষকরা।