|
ওপেনিং জুটিতে ৯৭
ওপেনিং জুটি ভাঙে দশম ওভারের শেষ বলে। তখন ভারত পৌঁছে গিয়েছে ৯৭ রানে। পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে ভারতের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৫৭। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় প্রথম দুটি ম্যাচে রান না পেলেও এদিন অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ৩০ বলে। কিষাণের অর্ধশতরানটি আসে ৩১ বলে। ভারতের ওপেনিং জুটি ভাঙেন কেশব মহারাজ। ঋতুরাজ সাতটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৩৫ বলে ৫৭ রান করেন। ১৩তম ওভারের শেষ বলে শ্রেয়স আইয়ার আউট হন, ১১ বলে ১৪ রান করে তিনি তাবরেজ শামসির শিকার। এরপর ঠিক চার বলের মাথায় সাজঘরে ফেরেন কিষাণ। তাঁর ৩৫ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে রয়েছে পাঁচটি চার ও দুটি ছয়।
|
হতাশ করল মিডল অর্ডার
ভারতের ৫০ রান এসেছিল ৫.৩ ওভারে। ১০০ রান আসে ১০.৫ ওভারে। ১৭.৩ ওভারে দেড়শো রানে পৌঁছায় মেন ইন ব্লু। ৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে ভারত ৮১ রান তোলে, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তিনটি উইকেটও হারায়। ঋযভ পন্থের খারাপ ফর্ম অব্যাহত। গত ফেব্রুয়ারির পর সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটে হাফ সেঞ্চুরি নেই। এদিন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন তাঁর ক্যাচ মিস করার পরেও ৮ বলে ৬ রানের বেশি পেলেন না পন্থ। তাঁকে আউট করেন ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস। ১৫.৫ ওভারে ১৪৩ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ার পর ভারতের পঞ্চম উইকেট পড়ে ১৮.৩ ওভারে। ৮ বলে ব্যক্তিগত ৬ রানে কাগিসো রাবাডার শিকার হন দীনেশ কার্তিক।
|
ফিনিশার হার্দিক
ক্যাচ মিসের ফায়দা পন্থ নিতে না পারলেও গুজরাত টাইটান্সের সতীর্থ ডেভিড মিলার যে ক্যাচটি ফেলেন তা সুদে-আসলে উশুল করে নিলেন হার্দিক। তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জ ছু়ড়ে দিতে পারল। এর আগে এই মাঠে দুটি টি ২০ আন্তর্জাতিক লো স্কোরিং ম্যাচ হলেও পিচ রিপোর্ট দিতে গিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার দীপ দাশগুপ্ত বলেছিলেন, ১৭০-১৮০ রান উঠতে পারে। সেটাই হলো। হার্দিক ২১ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। হার্দিকের ইনিংসে রয়েছে চারটি চার। অক্ষর প্যাটেল ২ বলে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
|
প্রথম অর্ধশতরানে খুশি ঋতুরাজ
ভারত শেষ পাঁচ ওভারে ৪১ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে ২ উইকেটের বিনিময়ে। শেষ ওভারে আসে ১২ রান। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় বলেন, আরও ১০-১৫ রান বেশি হলে ভালো হতো। তবে ১৮০ ভালো স্কোর। স্পিনাররা কিছুটা স্লো বল করলে কার্যকরী হবেন। টি ২০ আন্তর্জাতিকে প্রথম অর্ধশতরান পেয়ে ঋতুরাজ স্বাভাবিকভাবেই খুশি। তিনি জানালেন, রান না পেলেও ভেঙে না পড়ে নিজেকে পরের ম্যাচের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। কাগিসো রাবাডা, তাবরেজ শামসি ও কেশব মহারাজ একটি করে উইকেট পান।