আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৪ থেকে ১৮ জুনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা
আবহাওয়া দফতরের তরফে
- ১৪ ও ১৫ জুন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতিভারী (৭-২০ সেমি) বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াজলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ ভারী (৭-১১ সেমি) বৃষ্টি হতে পারে।
- ১৬ জুনের জন্য আবহাওয়া দফতরের তরফে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওইদিন কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে সেদিন অতিপ্রবল বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ভারী থেকে অতিভারীবৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলায়। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কালিম্পং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায়।
- ১৭ জুন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায়।
- ১৮ জুনেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। ওই দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।
সম্ভাব্য প্রভাব
টানা বৃষ্টিপাতের ফলে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর পাহাড়ে ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তা, জলঢাকা, সঙ্কোশ এবং তোর্সা নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দৃশ্যমানতাহ্রাস পেতে পারে। ফসলের ক্ষেতে জল জমে যেতে পারে। জল জমতে পারে পুরসভাগুলির নিচু এলাকাগুলিতে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আগমন হতে পারে। তবে সঙ্গে সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গেরবিস্তীর্ণ এলাকায় অস্বস্তির আবহাওয়া বজায় থাকবে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (৩৮.২)
বহরমপুর ( ৩৭)
বাঁকুড়া (৩৬.৮)
বর্ধমান (৩৮.৮)
কোচবিহার (২৭.৩ )
দার্জিলিং ( ২১.৬)
দিঘা (৩৫.২)
কলকাতা (৩৪.৯)
দমদম (৩৬.৯)
কৃষ্ণনগর (৩৬.৬)
মালদহ (৩৪)
মেদিনীপুর ( ৩৭)
শিলিগুড়ি (৩০.৮)
শ্রীনিকেতন ( ৩৮.৮)