রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের প্রথম দিনই হলো দুটি শতরান। একটি আলুরে বাংলা-মধ্য়প্রদেশ ম্যাচে। অপরটি বেঙ্গালুরুতে মুম্বই-উত্তরপ্রদেশ ম্য়াচে। মধ্যপ্রদেশের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম শতরান পেয়ে দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন হিমাংশু মন্ত্রী। তবে মুম্বইয়ের ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ২২৭ বলে ১০০ রান করে আউট হয়েছেন। মুম্বইয়ের অধিনায়ক পৃথ্বী শ আউট হয়েছেন শূন্য রানে। মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তব ১০ রানের বেশি করতে পারেননি।
(ছবি- সিএবি মিডিয়া)
মধ্যপ্রদেশ এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। মধ্যাহ্নভোজের আগে ৩৩ ওভারে তিন উইকেটের বিনিময়ে তারা তোলে ৭৫ রান। দ্বিতীয় সেশনে ২৬ ওভারে ৯৬ রান ওঠে, পড়ে ১ উইকেট। চা বিরতির পর দিনের শেষ সেশনে ২৭ ওভারে মধ্যপ্রদেশ সংগ্রহ করে আরও ১০০ রান। পড়ে মাত্র দুটি উইকেট। ৯৭ রানে চার উইকেট হারানোর পর প্রথম দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশ ৮৬ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান তুলেছে। ১৫টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ২৮০ বলে ১৩৪ রানে অপরাজিত আছেন হিমাংশু মন্ত্রী। অক্ষত রঘুবংশী করেন ৮১ বলে ৬৩, আটটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে। রজত পাটীদার চারে নেমে ১৭ বলে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। মন্ত্রীর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন পুনীত দাতে (৯)।
বাংলার বোলারদের মধ্যে ২১ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন মুকেশ কুমার। আকাশ দীপ ২০ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। সায়নশেখর মণ্ডল ১৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। শাহবাজ আহমেদ ১৪ ওভারে ৭০ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। প্রদীপ্ত প্রামাণিক ১৪ ওভার বল করেছেন, ৫০ রান খরচ করে তাঁরও ঝুলিতে গিয়েছে একটি উইকেট। চার ওভার বল করে মনোজ তিওয়ারি ১০ রান দেন, উইকেট পাননি। বাংলার হেড কোচ অরুণ লাল জানিয়েছেন, আমাদের দলে আরও একজন স্পিনার দরকার ছিল। সে কারণে একজন পেসারকে বসানোর প্রয়োজন হয়। সায়ন আগের ম্যাচে ভালো বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও সফল হয়েছিলেন। সে কারণেই ঈশান পোড়েলকে এই ম্যাচে খেলানো হয়নি। ঈশানের বদলে খেলছেন প্রদীপ্ত।
অরুণ লাল আরও বলেন, টস হারার পর পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হয়ে যায়। এটি দারুণ ব্যাটিং উইকেট। তা সত্ত্বেও বোলাররা ৯৭ রানে চারটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু হিমাংশু অসাধারণ ইনিংস খেললেন, সেই সঙ্গে অক্ষত রঘুবংশী নির্ভীক কাউন্টার-অ্যাটাক চালিয়ে গেলেন। অক্ষত নিশ্চিতভাবেই বিশেষ প্রতিভা। শেষ সেশনে দুটি উইকেট তুলে নিতে পারা ইতিবাচক দিক। আর ৫০ রানের মধ্যে মধ্যপ্রদেশকে বেঁধে ফেলতে পারলে মনে করব আমরাই এগিয়ে রয়েছি। এতটাই ভালো ব্য়াটিং উইকেট যে বল করা কঠিন। আউট করতে স্পেশ্য়াল ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের ফাস্ট বোলাররা ভালো বল করেছেন। তবে স্পিনারদের জন্য দিনটি খুবই সাধারণ মানের গিয়েছে। আশা করছি, আগামীকাল ম্যাচে রাশ শক্ত হাতে আমরা ধরতে পারব। এদিকে, অপর সেমিফাইনালে মুম্বই উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান তুলেছে।