নুপুর শর্মা বিতর্ক কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না! মন্তব্যের কয়েকদিন কেটে গেলেও থামানো যাচ্ছে না অশান্তি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি'র খবর সামনে আসছে। ইতিমধ্যে একাধিক দেশ মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা জানিয়েছে। এমনকি বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারদের ডেকেও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে কেন্দ্রের মোদী সরকারও।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় একাধিক দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
আর এই বিতর্কে'র মধ্যেই ভারতে লাগাতার সাইবার হামলার অভিযোগ! ভারত সরকারের একাধিক ওয়েবসাইটে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, ভারতে ৭০টি বেসরকারি ও সরকারি ওয়েবসাইটে আন্তর্জাতিক সাইবার হামলা হয়েছে। হ্যাকাররা ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলিকেও টার্গেট করছে বলে দাবি। মালয়েশিয়া'র হ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ 'ড্রাগনফোর্স' ভারত সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক সাইবার হামলা শুরু করেছে।
শুধু তাই নয়, প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, এই হ্যাকিং গ্রুপ একটি OpsPatuk বলে প্রচারও শুরু করেছে। ভারত সরকারকে "strike back" অর্থাৎ জবাব দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে ওই গ্রুপ। এমনকি বিশ্বের সমস্ত মুসলিম হ্যাকার, অ্যাকটিভিস্টদেরও আহ্বান জানানো হয়েছে এই কাজ করার জন্যে। যা কার্যত ভারতের সাইবার বিশেষজ্ঞদের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে উঠছে।
জানা যাচ্ছে, অডিও ক্লিপ এবং টেক্সটে'র মাধ্যমে একটি বার্তা হ্যাকার গ্রুপের তরফে দেওয়া হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম আর আমার জন্য আমার ধর্ম।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত ১০ জুন একটি বেঙ্গালুরু'র সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা CloudSEK তাঁদের একটি গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পান। তাঁরা দেখেন, একটি মালয়েশিয়ান হ্যাকটিভিস্ট গ্রুপের পোস্ট করা একটি টুইট। যা কিনা 'ড্রাগনফোর্সে'র নামে করা হয়েছে। যেখানে বিশ্বের সমস্ত মুসলিম হ্যাকারদের ভারত সরকারের ওয়েবসাইটগুলির উপর হামলা করার নিদান দেওয়া হয়েছে। হ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ ড্রাগনফোর্সের তরফে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, হ্যাকাররা প্রায় ৭০টি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে।
হামলা থেকে এমনকি দিল্লি পাবলিক স্কুল, ভবন এবং সারা দেশে কলেজের অন্যান্য ক্লাস্টারের মতো বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিও রেহাই পায়নি। এমনকি শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই ৫০টিরও বেশি ওয়েবসাইট প্রভাবিত হয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে।
যদিও এই তথ্য সামনে আসতেই ভারতীয় সাইবার বিশেসজ্ঞরাও নড়েচড়ে বসেছে । ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলি বাঁচাতে বাড়তি প্রটেকশন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।