|
মিডিয়া স্বত্বের সর্বকালীন রেকর্ড
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট লিগ এবার আরও ধনীতে পরিণত হলো। ৪৮,৩৯০ কোটি টাকা বা ৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি হওয়া বিশ্বের জনপ্রিয় বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতারও প্রথম দিকেই পৌঁছে দিল আইপিএলকে। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, ভারতীয় উপমহাদেশে টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব ২৩,৫৭৫ কোটি বা ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে নিজেদের দখলেই রাখল ডিজনি স্টার। ভারতীয় উপমহাদেশে আইপিএলের ডিজিটাল স্বত্ব ২০,৫০০ কোটি টাকার বিনিময়ে পেয়েছে ভায়াকম ১৮। গ্লোবাল রিজিয়নের মধ্যে টিভি ও ডিজিটাল সম্প্রচারের স্বত্বও পেয়েছে রিলায়েন্সের এই সংস্থা। ভারতীয় উপমহাদেশে ডিজিটাল এবং অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউকে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএলের টিভি ও ডিজিটাল স্বত্ব ভায়াকম ১৮ কিনেছে ২৩,৭৫৮ কোটি টাকার বিনিময়ে। মধ্য প্রাচ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া স্বত্ব পেয়েছে টাইমস ইন্টারনেট। মধ্য প্রাচ্যের স্বত্ব কিনেছে ২০৫ কোটি টাকায় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রচারের স্বত্ব তারা কিনেছে ২৫৮ কোটি টাকায়।
|
এনএফএলের পরেই আইপিএল
মিডিয়া স্বত্ব বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, সামগ্রিকভাবে আইপিএলের ম্যাচপিছু ডিজনি-স্টার বিসিসিআইকে দিচ্ছে ৫৭.৫ কোটি টাকা। ভারতীয় উপমহাদেশে ডিজিটাল স্বত্বের জন্য ভায়াকম-রিলায়েন্স বোর্ড দেবে আরও ৫০ কোটি টাকা। নন-এক্সক্লুসিভ প্যাকেজ বা প্যাকেজ সি ভায়াকম কিনেছে ৩২৭৩ কোটি টাকায়। প্যাকেজ ডি ছিল বিশ্বের বাকি অংশের জন্য। টেরিটরি এ-তে ৪১০টি ম্যাচের একেকটির দর দাঁড়িয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা, টেরিটরি বি-তে তা ৫০ লক্ষ টাকা, টেরিটরি সি-তে ৬৫ লক্ষ টাকা, টেরিটরি ডি-তে ৫০ লক্ষ টাকা এবং টেরিটরি ই-তে ৬৩ লক্ষ টাকা। ফলে নন-এক্সক্লুসিভ হাই প্রোফাইল ম্যাচগুলির দর সামগ্রিকভাবে আইপিএলের ম্যাচপিছু দরকে আরও উচ্চতায় তুলে নিয়ে গেল। ম্যাচপিছু দরের নিরিখে আইপিএল এখন শুধু রইল আমেরিকার পেশাদার ফুটবল লিগ বা এনএফএলের পরেই।
|
ডিজিটাল বিপ্লব
আইপিএলের ডিজিটাল স্বত্বও এবার সর্বকালীন রেকর্ড দরে বিক্রি হওয়ায় উচ্ছ্বসিত বোর্ড সচিব জয় শাহ। তিনি টুইটে লেখেন, ভায়াকম ১৮ ২৩,৭৫৮ কোটি টাকার বিনিময়ে ডিজিটাল স্বত্ব কিনেছে। ভারতে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেছে এবং এই ক্ষেত্রে সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে। ডিজিটাল সম্প্রচার ক্রিকেট খেলা দেখার অভিজ্ঞতাতেও পরিবর্তন এনেছে। এত দরে স্বত্ব বিক্রি হওয়ায় ক্রিকেটের বিকাশ ও ডিজিটাল ভিশনের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত ইতিবাচক দিক বলে উল্লেখ করেছেন অমিত শাহের পুত্র। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিসিসিআই যেভাবে আইপিএল সফলভাবে আয়োজনের পারদর্শিতা দেখিয়েছে, আইপিএলের মিডিয়া স্বত্বের রেকর্ড দর ওঠা তারই সুফল বলে মনে করছেন জয়।
|
বিশ্বমানের পরিকাঠামো
জয় শাহ আরও জানিয়েছেন, আইপিএল থেকে বিসিসিআই যে রাজস্ব আদায় করবে তা বিসিসিআই ঘরোয়া পরিকাঠামো আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে ব্যয় করবে। তৃণমূলস্তর থেকে ক্রিকেট পরিকাঠামোর উন্নতি, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিকাশ ঘটানো হবে। ক্রিকেট দেখার অভিজ্ঞতার মানোন্নয়ন ঘটানো হবে। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে জয় শাহ বলেছেন, ক্রিকেট ফ্যানরা যাতে বিশ্বমানের পরিকাঠামোয় ক্রিকেট দেখতে পারেন তা সুনিশ্চিত করতে একযোগে উদ্যোগী হতে হবে।