প্রথম টি-২০ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বড় রান তুলেও তা ডিফেন্ড করতে পারেনি ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের খেলার মধ্যে এবং পরিকল্পনায় পার্থক্য আসবে এমনটা আশা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও ভাবেই তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। বরং আরও নিম্নমুখী হয়েছে পারফরম্যান্স।
কটকে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে হেরে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে ভারত। একমাত্র ভুবনেশ্বর কুমার (৪-০-১৩-৪) ছাড়া কোনও ভারতীয় বোলার প্রত্যাশা মতো বোলিং করতে পারেননি। সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে যুজবেন্দ্র চাহাল, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেলও এ দিন ভাল রান খরচ করেন। বারাবাটি স্টেডিয়ামে ভারতের এই পারফরম্যান্সে অত্যন্ত হতাশ সুনীল গাভাসকর। লিটল মাস্টার ম্যাচের পরে সম্প্রতচারকারী বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেন, "সব থেকে বড় সমস্যা হল এই স্কোয়া়ডে ভুবনেশ্বর কুমার ছাড়া কোনও উইকেট সংগ্রহকারী বোলার নেই। উইকেট নিয়েই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা যায়। দুই ম্যাচে ভুনবেশ্বর ছাড়া কাউকে দেখে কি মনে হয়েছে যে উইকেট নিতে পারে? এটাই কারণ যেখানে ২১১ রানও ওরা ডিফেন্ড করতে পারেনি।"
কুইন্টন ডি কক চোট পাওয়ায় বাধ্য হয়ে উইনিং কম্বিনেশনে বদল এনে ডি ককের জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলাতে হয়েছিল হেনরিচ ক্লাসেনকে। বাধ্য হয়ে করা পরিবর্তনটাই যে কাজে চলে আসবে তা হয়তো ভাবতে পারেননি অনেক বড় প্রোটিয়া সমর্থকও। যেই ট্র্যাকে ব্যাটিং করতে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা উভয় দলেরই সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপাকে পড়তে হয়েছে সেই উইকেটে ক্লাসেন এমন ভাবে ব্যাটিং করেছেন যা দেখে বোঝার উপায় নেই যে এই উইকেটই সমস্যায় ফেলছিল সেরা ব্যাটারদের। ৪৬ বলে ৮১ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ৭টি চার এবং ৫টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন ক্লাসেন। এই ডান-হাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান যদি দাঁড়াতে না পারতেন তা হলে এই ম্যাচ থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে যেত দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে। ক্লাসেন ছাড়া মাত্র দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছান- টেম্বা বাভুমা (৩৫) এবং ডেভিড মিলার (২০*)।
এই ম্যাচে জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। সিরিজের পরবর্তী ম্যাচটি ভারতীয় দল খেলবে বিশাখাপত্তনমে। ওই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেলে দুই ম্যাচ হাতে থাকতে সিরিজ পকেটে পুরবে প্রোটিয়ার্সরা।