প্রয়াত হলেন দেশের বিখ্যাত দৌড়বিদ হরি চাঁদ। তিনি ছিলেন এক জন লং ডিস্টেন্স রানার। যে সকল অ্যাথেলিটরা বেশি দূরত্ব দৌড়ন তাঁদেরই লং ডিসটেন্স রানার বলা হয়। সোমবার সকালে পাঞ্জাবের হোশিপুর গ্রামে মাত্র ৬৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দুই বারের অলিম্পিয়ান এবং ১৯৭৮ এশিয়ান গেমসে জোড়া সোনা জয়ী এই অ্যাথেলিট। ব্যাঙ্কক এশিয়ান গেমসে ৫০০০ মিটার এবং ১০০০০ মিটার দৌড়ে শীর্ষ স্থান অর্জন করেন হরি চাঁদ।
১৯৭৬ সালে মন্টরিয়লে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে দ্বিতীয় হিটে ১০০০০ মিটারের দৌড়ে অষ্টম স্থানে শেষ করেছিলেন তিনি। তাঁর সময় লেগেছিল ২৮:৪৮.৭২ মিনিট। দীর্ঘ ৩২ বছর জাতীয় স্তরে অক্ষত ছিল এই রেকর্ড। ১৯৮০ সালে মস্কো অলিম্পিকে ম্যারাথনে হরি চাঁদ দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ৩২ বছর পর এই রেকর্ড ভেঙে দেন সুরেন্দ্র সিং। হরি চাঁদের মৃত্যুকে শোকস্তব্ধ দেশের ক্রীড়া মহল। ১৯৮৬ সিয়ল এশিয়ান গেমসে রূপো জয়ী সাঁতারু খাজান সিং টোকাস জানিয়েছেন, হরি চাঁদের মৃত্যু দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের জন্য বড় ক্ষতি। এনডিটিভি'কে তিনি বলেছেন, "ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে গেল। সিআরপিএফ-এ উনি আমার ঊর্ধ্বতন ছিলেন। উনি যেমন প্রতিদ্বন্দ্বীতা মূলক ছিলেন তেমনই এক জন সাধারণ মানুষ ছিলেন। উনি যেখানেই যেতেন সেখানেই খেলোয়াড়দের গ্রুপ করতেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক কিছু শিখেছি ওনার থেকে। আমাদের অনেকের কাছে উনি ছিলেন পদ দেখানোর আলো।"
১৯৮০ মস্কো গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ১০০০দ মিটার দৌড়ে দশম স্থানে শেষ করেন হরি চাঁদ। ইউরোপীয় সার্কিটে হরি চাঁদের আলাদাই কদর ছিল। গোটা ইউরোপের অ্যাথেলিট মহল তাঁর দিকে সম্মানের সঙ্গে তাকিয়ে থাকত কারণ তিনি খালি পায়ে টেপ বেঁধে দৌড়াতেন। ১৯৭৫ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে হরি চাঁদ ১০০০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছিলেন। এবং দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিলেন ৫০০০ মিটার দৌড়ে। তাঁকে অর্জন পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছে ভারত সরকার।