দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন এবং মেলিটোপোলের দখল আগেই নিয়েছিল রাশিয়া৷ এই অংশগুলোর স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিল পুতিন সরকার। এবার খেরসন এবং মেলিটোপোল শহরে স্থানীয়দের কাছে রাশিয়ান পাসপোর্ট হস্তান্তর করা শুরু করেছে মস্কো। এই ঘটনার সমালোচনা করে ইউক্রেন তার ভূখণ্ডে রাশিয়ান নাগরিকদের সৃষ্টিকে 'রুশিফিকেশন' বলে নিন্দা করেছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷
রাশিয়ার তাস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবার একটি অনুষ্ঠানে প্রথম ২৩ জন খেরসন বাসিন্দারা রাশিয়ান পাসপোর্ট পেয়েছেন। তাসের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে রাশিয়ান পাশপোর্টের জন্য হাজার হাজার লোক আবেদন করেছে। অতিরিত চাপের কারণে তাদের দাবিগুলি যাচাই করাও সম্ভব হয়ে উঠছে না।
খেরসনে রাশিয়ান নিযুক্ত সামরিক গভর্নর ভলোদিমির সালদো বলেছেন, 'আমাদের সমস্ত খেরসোনাইট কমরেড যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাসপোর্ট এবং রাশিয়ান নাগরিকত্ব পেতে চায়।' ইউক্রেন, রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে তার আঞ্চলিক অখণ্ডতার 'প্রকাশ্য লঙ্ঘন' বলে নিন্দা করে বলেছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের জারি করা এই ডিক্রি 'আইনিভাবে বাতিল।'
রাশিয়া ইউক্রেনীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে পাসপোর্ট বিতরণ করছে যা মস্কোর বাহিনী ২০১৪ সাল থেকে দখল করে রেখেছে৷ ক্রিমিয়া এবং ডনবাসের বেশিরভাগ অংশও মস্কোর দখলে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়া ক্রিমিয়াকে অধিভুক্ত করে এবং দোনেস্ক এবং লুহানস্কে নিজেদের জনগণের প্রজাতন্ত্র তৈরি করছে৷
এই পদক্ষেপগুলি আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দা করা হবে বলেও জানিয়েছে মস্কো৷ ইউক্রেন আরও আশঙ্কা করছে যে বর্তমান আক্রমণে রুশ বাহিনীর দখলকৃত এলাকাগুলোতে একই প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয়রা রাশিয়ান হয়ে গেলে, ক্রেমলিন দাবি করতে পারে যে তাদের 'সুরক্ষা' দিতে সেন নিয়োগ করতে হবে।
ইউক্রেনীয়রা খেরসনে ইউক্রেনীয় মুদ্রা রিভনিয়ার পরিবর্তে রুবেল ব্যবহার করার জন্য একটি রাশিয়ান আদেশ পেয়েছে৷ মেলিটোপোল দক্ষিণ-পূর্ব জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অবস্থিত, যার বেশিরভাগই এখন রাশিয়ান বাহিনীর হাতে রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
ক্রিমিয়া এবং রাশিয়ান-অধিকৃত ডনবাসে ডোনেটস্ক এবং লুহানস্ক নিয়ে গঠিত শিল্প অঞ্চল রাশিয়া রুবেল চালু করেছে এবং স্কুলগুলিকে রাশিয়ান পাঠ্যক্রম গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে। এমনকি তারা কিয়েভ নিযুক্ত স্থানীয় কর্মকর্তাদেরও ক্ষমতাচ্যুত করেছে।