রাঁচির হিংসার পিছনে রয়েছে 'ওয়াসেপুর গ্যাং', উঠে এল পুলিশের তদন্তে

নূপুর শর্মা বক্তব্যের বিরোধিতা করার নামে রাঁচিতে জমায়েত হয়ে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করে উন্মত্ত জনতা৷ হিংসা আটকাতে গুলি চালায় পুলিশ৷ এবার এই জমায়েতের পিছনে থাকা 'ওয়াসেপুর গ্যাং'কে চিহ্নিত করল পুলিশ৷

শুক্রবার রাঁচিতে বিক্ষোভের পিছনে রয়েছে 'ওয়াসেপুর গ্যাং' নামে একটি জানিয়েছে পুলিশ৷ সেদিনের জমায়েতে লোক জড়ো করার পেছনে অবদান রয়েছে এই গ্রুপটির৷

বলিউডের দৌলতে পরিচিত 'ওয়াসেপুর গ্যাং'-এর নাম!

বলিউডের দৌলতে 'ওয়াসেপুর গ্যাং' ও কাহিনীর সঙ্গে পরিচিত সাধারণ মানুষ৷ এই 'ওয়াসেপুর গ্যাং' আদপে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। পুলিশ সূত্রের খবর, এই গ্রুপ থেকেই শুক্রবার রাঁচিতে হিংসার জন্য জনতাকে জড়ো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকেজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। পুরো ঘটনায় জড়িতে সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া ও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

রাঁচির ঘটনায় নিহত দুই?

রাঁচির পুলিশ জানিয়েছে, চিহ্নিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিনকেও খুঁজছে পুলিশ। রাঁচিতে শুক্রবারের নামাজের পরে শুরু হওয়া বিক্ষোভে ২৪ বেশি লোক আহত হয়৷ এবং এই বিক্ষেভে মোহাম্মদ মুদাসির আলম এবং মোহাম্মদ সাহিল মারা যান। ইসলাম ধর্মের নবী মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিজেপির দুই বরখাস্ত কর্মকর্তা নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালের মন্তব্যের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ হয়। এরপর রবিবারও রাঁচিতে উত্তেজনা বিরাজ করেছে৷ ঘটনার পর পুলিশ সংবেদনশীল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং হিংসা ছড়ানোর জন্য কয়েক হাজার মানুষের বিরুদ্ধে ২৫ টি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।

কী বলছে দিল্লি পুলিশ?

রাঁচির জেলা প্রশাসক ছাভি রঞ্জন জানিয়েছেন, প্রায় ৩৩ ঘন্টা পরে জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৩৫০০ নিরাপত্তা কর্মী রাঁচির সংবেদনশীল এলাকাগুলির নিরাপত্তা ও শান্তির দায়িত্বে রয়েছেন৷ যেখানে জুমার নামাজের পরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে শহর কেঁপে উঠেছিল এবং দু'জন নিহত এবং ২৪ জনের বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়।

More NUPUR SHARMA News  

Read more about:
English summary
Behind the violence in Ranchi is a WhatsApp group called 'Wasepur Gang'